২৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল টোকিও অলিম্পিকের। ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। করোনা মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে দেওয়া অলিম্পিক আয়োজন সব বাধা-অনিশ্চয়তা দূর করেই বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুভ সূচনা হলো।
জাপানের টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অন্যতম সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান শেখ বশির আহম্মদ মামুন। পতাকা বহন করেন কৃতি সাঁতারু আরিফুল ইসলাম।
২৩ জুলাই বিকেলে জাপানের টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ক্রীড়ামোদীরা উপভোগ করেন। জাপানের সম্রাট নারুহিতো গেমস্ শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অতিথিদের সাথে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন-এর মহাসচিব সৈয়দ সাহেদ রেজা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড বিগেস্ট ইন্টারন্যাশনাল মাল্টি স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল- অলিম্পিকে জনাব শেখ বশির আহম্মদ মামুন সেফ দ্যা মিশন হিসেবে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব প্রদান অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের।
শেখ বশির আহম্মদ মামুন বাংলাদেশ অলিম্পিক-এর সহ-সভাপতি ছাড়াও বাংলাদেশ জিমনাস্টিক ফেডারেশন-এর সভাপতি, সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ গেমস স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সফল ও সার্থকতার সাথে দায়িত্ব পালনকারী দেশবরেণ্য একজন সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক।
আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও গেমস পেছালো। এর আগে যদিও বিশ্বযুদ্ধের কারণে তিনটি অলিম্পিক বাতিল হয়েছে। প্রথমটি ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি ১৯৪০ ও ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে।
শেখ বশির আহম্মেদ মামুন একজন প্রচার বিমুখ সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিত্ব। চলমান করোনা অতিমারিতে বিপর্যস্ত মানুষের কল্যাণে তিনি নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশের হয়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহনের ইতিহাসে সাতক্ষীরার সন্তান হিসাবে প্রথম বাংলাদেশ টীমকে নেতৃত্ব দেয়ার অভূতপূর্ব সম্মান যেমন পেয়েছেন তিনি তেমনি সাতক্ষীরার নাম উজ্জল করেছেন ৷ এ জন্য সাতক্ষীরা-৯৩ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কর্মময় জীবনের সাফল্য কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সকল সদস্য।