চট্টগ্রাম, ২৯ আষাঢ় (১৩ জুলাই) : করোনা ভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউনে দিশেহারা অসহায়, ছিন্নমূল, দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের আয় নেই, ঘরে খাবার নেই। অসহায় এসব মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন।
শ্রমজীবী এসব মানুষের মধ্যে প্রতিদিন খাবার বিতরণ করছে এ দাতব্য প্রতিষ্ঠান। লকডাউনের শুরু থেকে প্রতিদিন মন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় তৈরি করা হয় খাবার। পরে তা মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরেও চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড় এলাকায় তথ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ফুটপাতে দুই শতাধিক পথচারী, রিকশাচালক, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
খাবার বিতরণ উপলক্ষে সকাল থেকে ব্যস্ততা শুরু হয় মন্ত্রীর বাসায় । মাংস, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য মসলা কেটেকুটে পরিষ্কার করে দেন কেউ কেউ। তারপর বড় পাতিলে রান্না বসানো হয়। সাড়ে ১২টার আগেই সেসব খাবার প্যাকেট করা হয়। শেষে বাসার সামনে ফুটপাতে এনে একবেলা খাবার তুলে দেয়া হয় দরিদ্র মানুষের মুখে।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর দেওয়ানজি পুকুড়পাড় এলাকায় নবাব সিরাজদ্দৌলা রোডে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন দুই শতাধিক অসহায় মানুষ। অন্যদিকে আয়োজন সংশ্লিষ্টরা দাঁড়িয়ে আছেন প্যাকেটভর্তি খাবার নিয়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগত মানুষজন হাসিমুখে একে একে গ্রহণ করছেন খাবারের প্যাকেট।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ জানান, ১ জুলাই সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছেন তাঁরা। সে ধারাবাহিকতায় আজকের এ আয়োজন। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন খাবার বিতরণের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও সপ্তাহে অন্তত দুই-তিনদিন এ খাবার বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।
খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.শফিকুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ, কায়ছারুল আলম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল জব্বার, সদস্য শফিউল আলম ও শৈবাল চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *