নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে নৌকার মাঝি হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে জমা দিয়েছেন জেলা শহরে আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেলা ১১ টায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে বিকাল ৪ টায় তিনি তা পূরণ করে জমা দেন। এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ত্যাগী ও রাজপথের লড়াকু সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের এ লড়াকু সৈনিক স্বাধীনতা পরবর্তীতে দলের ক্রান্তিলগ্নে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আ’লীগের দুর্দিন-দূর্বিপাকে কর্মী সমর্থকদের পাশে ছিলেন এবং আছেন। প্রথম থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্টে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিঃস্বার্থচিত্তে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শিক্ষিত মার্জিত এই মানুষটি সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে হতে চান নৌকার কান্ডারী। রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ১৯৬৯ সালে ৬ দফা আন্দোলন ও ছাত্র সমাজের ১১ দফার গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে যশোর জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। পরে ১৯৭২ সালে তিনি যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি ছাত্রলীগের ব্যানারে যশোর সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর যশোরে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রায় এক বছর কারাভোগের পর ১৯৭৬ সালের ২৬ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তিলাভ করেন। এর ৪ দিন পরে ৩১ জুলাই তিনি যশোর জেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক মনোনীত হন।
সাতক্ষীরার রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৪ সালে জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও পরে নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, দলীয় কর্মসূচী থেকে শুরু করে দলের দুর্দিন-দূর্বিপাকে রাজপথে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করেছি। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দেন তবে আমি দল এবং সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে কুন্ঠাবোধ করবোনা।
কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন বাপ্পী, আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল্লাহ আরাফাতসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।