অনলাইন ডেস্ক : দ্বিতীয় ইনিংসে ২০২ রানের লক্ষ্য খুব কম নয়। মাঝারি পুঁজিতে যেমন বোলিং দরকার ছিল, সেটি করতে পারল না বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের অপরাজিত ফিফটিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের পাল্লা ভারী পাকিস্তানের।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে নাটকীয় কিছু করতে না পারলে আরেকটি হার মেনে নিতে হবে বাংলাদেশকে। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১০৯ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
আবিদ আলি ৫৬ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। আলোক স্বল্পতায় খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগেই। পঞ্চম দিনে ৯০ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন মাত্র ৯৩ রান, হাতে ১০ উইকেট। সকালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে। প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের দল করেছিল ৩৩০ রান। পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অলআউট করে ৪৪ রানের লিড তুলেছিল।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন লিটন দাস। দলকে দুইশ পেরোনো লিডে রেখে ৫৯ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। লিটনকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। লাঞ্চ বিরতির পর অফস্পিনার সাজিদ খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ইয়াসির আলির জায়গায় কনকাশন সাব হিসেবে নামেন এ ব্যাটার।
বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট জুটি (৩৮) ভাঙে দেড়শ পেরিয়ে। ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুতেই মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায়।
তখন ইয়াসিরের সঙ্গী হন লিটন দাস। দুজন দারুণ ব্যাট করছিলেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাতের কারণে বিচ্ছিন্ন হয় জুটি। হেলমেটে বলের আঘাতে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যান ইয়াসির। ৩৬ রানে আহত অবসর হয়ে ড্রেসিংরুমে যান। পরে স্ক্যান করার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় লোকাল বয়কে। তাকে রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে।
শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সার ডাক করতে গেলে বল লাগে ইয়াসিরের হেলমেটে। তারপরও দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন। পানি পানের বিরতিতে গেলে অসুস্থ বোধ করায় আর মাঠে ফিরতে পারেননি। তখন লিটনের সঙ্গী হন মেহেদী মিরাজ। বেশ কিছুটা সময় উইকেটে কাটান এ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। ৪৪ বলে ১১ রান করে সাজিদের প্রথম শিকারে পরিণত হন।