স্পোর্টস ডেস্ক : পেসারদের দাপটে ছোট লক্ষ্য পাওয়া বাংলাদেশ গড়ল নতুন ইতিহাস। প্রথমবার কোন দলকে হারাল ১০ উইকেটের ব্যবধানে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ১০১ রান তাড়া করেছে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটিতেই।
দুর্দান্ত খেলে টিম টাইগার্স আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ২-০ ব্যবধানে। বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের ম্যাচটি (দ্বিতীয় ওয়ানডে) বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে সিরিজের ফল ৩-০ হতে পারত! সিরিজের শুরুটা হয়েছিল রেকর্ড রানে জয় দিয়ে। শেষটা হল উইকেটের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জয়ে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১০২ রানের লক্ষ্যে টি-টুয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালান তামিম-লিটন। মাত্র ১৩.১ ওভারে পৌঁছান জয়ের বন্দরে। লিটন ৩৮ বলে ৫০ ও তামিম ৪১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।
টাইগার পেসারদের স্বপ্নময় দিনে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট শিকারে ভাগ বসাতে পারেননি কোন স্পিনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম ঘটাল বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে উত্থানের নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে সিলেটে।
তৃতীয় ওয়ানডেতে হাসান মাহমুদের ফাইফার, তাসকিন আহমেদ তিনটি ও ইবাদত হোসেন দুটি উইকেট দখল করে আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে গুঁড়িয়ে দেন। সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজদের দর্শক বানিয়ে পেস-ত্রয়ী মেতেছিলেন উইকেট শিকারের নেশায়।
আগে পেস বোলিংয়ে ৯ উইকেট ছিল ৪ বার, সবকটিই টেস্টে। ওয়ানডেতে আগে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট দখল করেছেন টাইগার পেসাররা মিলে, এমন হয়েছে ১২ বার। পেসারদের দশ উইকেট শিকার সব ফরম্যাটে এটিই প্রথম বাংলাদেশের।
হাসান, তাসকিন, ইবাদতের দিনে আয়ারল্যান্ড ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চলেছে। তাদের দুঅঙ্ক পেরোতে পারেন কেবল দুজন। টেনেটুনে একশ পার করতে দলটি। ২৮.১ ওভারে অলআউট ১০১ রানে। কার্টিস ক্যাম্ফের ৪৮ বলে ৩৬ ও লোরকান টাকার ৩১ বলে ২৮ রান করেন।
আগের দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। করেছিল তিনশর বেশি রান। শেষ ম্যাচে আইরিশরা আগে ব্যাট করায় স্পষ্ট হয় দুদলের মাঝে শক্তির পার্থক্য।
সিলেটে মেঘাচ্ছন্ন দুপুরে আলো ছড়ান হাসান মাহমুদ। শুরুর তিন উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন টপঅর্ডার। পরে তাসকিন-ইবাদতের জোড়া শিকারে লেজ বেরিয়ে পড়ে সফরকারীদের। একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা পড়ে দলটি।
শেষের দুটি উইকেট নিয়ে হাসান দেখা পান ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারের। ৮.১ ওভারে ৩২ রানে নেন ৫ উইকেট। পেস ত্রয়ীর দারুণ বোলিংয়ে জয়ের পথ সহজ হয়। ১০২ রানের পথে অদম্য গতিতে আগান লিটন-তামিম। বাংলাদেশ দেখা পায় ১০ উইকেটের প্রথম জয়ের।