দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় নানা আয়োজনে শেখ মুজিবর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক উদযাপিত হয়েছে। সোমবার দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দেবহাটা থানা, ফায়ার সার্ভিস, দেবহাটা প্রেসক্লাব, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সরকারি কেবিএ কলেজ, হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ, দেবহাটা কলেজ, সরকারি দেবহাটা পাইলট হাই স্কুল, শিক্ষক সমিতি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, বেসরকারি সংস্থা আইডিয়াল, উত্তরণ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন।

পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগীতায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী, দেবহাটা থানার অফিসার্স ইনচার্জ দেবহাটা শেখ ওবায়দুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ।

বক্তব্য দেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার সুভাষ ঘোষ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, সমাজসেবা অফিসার অধির কুমার গাইন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা মহিতোষ কর্মকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি আবু রায়হান তিতু প্রমুখ।

উপস্থিত দেবহাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহম্মেদ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রব লিটু, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা প্রকৌশলী শোভন সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহজাহান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলাইমান হোসেন, মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহান, যুব-উন্নয়ন অফিসার আমিনুর রহমান, একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জুয়েল হোসেন, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করতে পারতাম না। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস সম্পার্কে জানাতে হবে। দেশপ্রেমে উৎসাহিত করতে হবে। দেশেকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাই তাদেরকে কোন ভাবে সুযোগ দেওয়া হবে না। দেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌববের দিনগুলো আমাদের ধারন করে সামনের দিনে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *