1. altafbabu1@gmail.com : news :
  2. altafbabu1@gmail.com : Satkhira Times : Satkhira Times
September 7, 2024, 5:44 pm
Title :
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন সুন্দরবন প্রেসক্লাবে মাসিক সমন্বয় সভা কলারোয়ায় গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ র‍্যালি ও গণসংযোগ  এক যুগ পর কলারোয়ায় হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী তাফসির মাহফিল, কমিটি গঠন তালতলায় এক ইজিবাইক চোর কে আটক করেছে গ্রামবাসী দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া শ্যামনগরে নারীদের কোয়েল পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কলারোয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা কালিগঞ্জে উপজেলা কৃষকদল সহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের দিনব্যাপী কর্মী কর্মশালা কালিগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাজী মিজান ও সম্পাদক নাজমুল ইসলাম

দেবহাটায় সংখ্যালঘুর মৎস্য ঘেরের জমি জবর দখলের পায়তারা

  • আপডেট সময় Wednesday, March 2, 2022

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় চন্দ্রকান্ত সরদার নামের এক সংখ্যালঘুর দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছরের মৎস্য ঘের ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জবরদখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষরা। ভুক্তভোগী মৎস্য ঘের মালিক চন্দ্রকান্ত সরদার উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের টিকেট গ্রামের মৃত সাধুচরণ সরদারের ছেলে। বর্তমানে সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের মৎস্য ঘেরটি জবরদখলের আতঙ্কে দিন কাটছে চন্দ্রকান্ত ও তার পরিবারের।

ভুক্তভোগী পরিবারটি জানান, কুলিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজার আরএস (হাল) ২৪৮ খতিয়ানের ১০৩ দাগে ক্রয়কৃত জমিসহ ১৯ বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘের প্রায় চল্লিশ বছর যাবৎ পরিচালনা করে আসছেন চন্দ্রকান্ত সরদার ও তার দুই প্রতিবেশি খগেন্দ্রনাথ মন্ডল এবং অমলেন্দু মন্ডল। ওই দাগটিতে চন্দ্রকান্ত, খগেন্দ্রনাথ মন্ডল ও অমরেন্দ্র মন্ডল ছাড়াও অন্যান্য মালিকদের রেকর্ডিয় সাড়ে ৩৩ বিঘা এবং সরকারি ভিপি আড়াই বিঘা জমি মিলিয়ে মোট ৩৬ বিঘা জমি রয়েছে। বর্তমানে এসকল রেকর্ডিয় মালিকরা স্ব-স্ব অবস্থানে মৎস্য ঘের পারিচালনা ও মাছ চাষ করছেন।

রেকর্ডিয় জমির পাশে থাকা সরকারি ওই আড়াই বিঘা ভিপি জমি দীর্ঘদিন ভোগদখলসহ তা গোপনে অন্যের মৎস্য ঘেরের মধ্যে আইন বর্হিভূত ভাবে ইজারা দিয়ে ইজারার টাকা পকেটস্থ করতেন একই গ্রামের যাদব চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে অরবিন্দু বিশ্বাস।

২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী আরএস (হাল) ১০৩ দাগের অন্য মালিকদের রেকর্ডিয় জমি দেখিয়ে, ভোগদখলীয় সরকারি আড়াই বিঘা ভিপি জমি ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জমির কোন নকশা ছাড়াই নামমাত্র মুল্যে একই গ্রামের সুধান্যু মন্ডলের ছেলে রনজিত মন্ডলের কাছে দলিল করে বেচে দেন অরবিন্দু বিশ্বাস। জমি বেচার পর সমুদয় টাকা নিয়ে রনজিত মন্ডলের সহায়তায় চিরদিনের জন্য স্বপরিবারে ভারতে পাড়ি দেন অরবিন্দু।

জমি কেনার কিছু দিনের মধ্যেই সরকারি জমি কিনে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারে রনজিত মন্ডল। তার ক্রয়কৃত জমির কোন নকশা দলিলে না থাকায় সে পাশ্ববর্তী নীরিহ ঘের মালিক চন্দ্রকান্তের রেকর্ডিয় জমি থেকে আড়াই বিঘা জমি সুকৌশলে জবরদখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে।

একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারী সুচতুর রনজিত মন্ডল শালিসের নাম করে তার পকেটস্থ কুলিয়া ইউনিয়নের তৎকালীন এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নীরিহ ঘের মালিক চন্দ্রকান্তকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ফেলে বিভিন্ন ভাবে চাপপ্রয়োগ এবং ঘের জবরদখল ও পিটিয়ে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়ে চন্দ্রকান্তকে জিম্মি করে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় রনজিতের মদদপুষ্ট তৎকালীন ওই জনপ্রতিনিধি।

রনজিত মন্ডল অরবিন্দের কাছ থেকে সরকারি আড়াই বিঘা ভিপি জমি কিনলেও, চন্দ্রকান্তের থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়া ওই ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তড়িঘড়ি করে আঁকা একটি নকশাসহ লেখা ছিল, রনজিতের আড়াই বিঘা জমি গিয়ে ঢুকেছে চন্দ্রকান্তের চল্লিশ বছরের পরিচালিত মৎস্য ঘেরটির রেকর্ডিয় জমির মধ্যে।

তাছাড়া সম্পূর্ন গায়ের জোরে নীরিহ চন্দ্রকান্তকে পরবর্তী দুবছর আড়াই বিঘা পরিমান জমির হারির টাকা দিতে হবে ওই জনপ্রতিনিধির আস্থাভাজন রনজিতকে। এমনকি দুবছর পর ২০২২ সালের জানুয়ারীতে চন্দ্রকান্তের রেকর্ডিয় জমি থেকে রনজিতকে আড়াই বিঘা জমি দিয়ে দিতে হবে মর্মে লিখিত ওই ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক চন্দ্রকান্তের কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিলেন সেই জনপ্রতিনিধি।

জোর করে স্ট্যাম্পে চন্দ্রকান্তের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার বিনিময়ে তাৎক্ষনিক অবৈধ সুবিধা গ্রহণসহ গেল ইউপি নির্বাচনে রনজিতের থেকে নির্বাচনী নানান সুবিধা নিয়েছিলেন সাবেক ওই জনপ্রতিনিধি। সম্প্রতি ওই জনপ্রতিনিধির বেঁধে দেয়া দুবছরের সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ায় নতুনকরে চন্দ্রকান্তের মৎস্য ঘেরের জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষ রনজিত মন্ডল।

কিন্তু তার আস্থাভাজন সেই তৎকালীন সেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে পরাজয়ের মাধ্যমে সাবেক হওয়ায় এবার মৎস্য ঘেরের জমির দখল নিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন রনজিত। সম্প্রতি রনজিত মন্ডল নাটকীয় ভাবে চন্দ্রকান্তের মৎস্য ঘেরের রেকর্ডিয় জমি নিজের দাবী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চন্দ্রকান্তের পরিবারকে হয়রানীসহ ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জমি জবরদখলের পায়তারা করছেন।

এব্যপারে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের চলমান ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ঘের মালিক চন্দ্রকান্তের পরিবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 satkhiratimes24.com
Theme Customized By BreakingNews