অনলাইন ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের জন্মের সঠিক ইতিহাস না জানা জাতি বেশিদূর এগোতে পারে না । সেজন্য নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
ঢাকা ক্লাবে শনিবার মুজিবনগর এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির দশম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কথা যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ রাখে সেজন্য পাঠ্যসূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথার পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘৃণ্য তৎপরতাও নতুন প্রজন্মকে
জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বর রাখার জন্য পিএসসিকে কয়েকবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কেবল ৫০ নম্বরের পরীক্ষা সেখানে নেয়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর আরও গবেষণা করারও অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের একটি ছোট্ট অংশের বিচার হয়েছে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ছিল। অনেকে ছিল, যারা চিহ্নিত হয়নি। ইতিহাসের জন্য এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। কারও প্রতি আমাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। ইতিহাসের জন্যই আমরা সঠিক তথ্যটি খুঁজে পেতে চাই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাধারণ কোন নাগরিক ছিলেন না, তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কাজেই তার সেসময়ের কোন ছবি থাকবে না, এটা হতে পারে না। জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে থাকলে ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করতে বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী ।
তিনি বলেন, সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে জিয়ার মাজারসহ মূল নকশাবহির্ভূত সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে তিনি সংসদে বহুবার বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সংসদ ভবন এলাকা থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দ্রুত সংসদ ভবনকে মূল নকশায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন-অর-রশীদ, বীর প্রতীক, শাহজাহান সিদ্দিকী, বীর বিক্রম ও ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মসিউজ্জামান। মুজিবনগর এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা এতে সভাপতিত্ব করেন।