রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম), ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) : জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী নিজে নারী হলেও নারীর ক্ষমতায়নে তারা কিছুই করেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমে ক্ষমতায় আসার পরেই নারীর ক্ষমতায়নে কাজ শুরু করেছেন। তা এখনো অব্যাহত আছে।
তথ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাঙ্গুনিয়ায় এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর অডিটরিয়ামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা চালু করেছেন যা ইউরোপেও নেই। এছাড়া বিধাব ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নারীদের উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। সন্তানের সনদপত্রসহ সব প্রয়োজনীয় কাগজে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখা চালু করেছেন।
এসব কাজের ফলে নারীরা বর্তমানে ডিসি, এসপি, সচিব বা জনপ্রতিনিধি হয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে দক্ষতার সাথে কাজ করছে।
তিনি বলেন, শুধু সরকারি ক্ষেত্রে নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর যথেষ্ট অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এক তৃতীয়াংশ নারী এখন প্রতিনিধিত্ব করছে। দশ বা পনের বছর পূর্বেও নারীদের নিকট এসব ছিল স্বপ্নের মতো।
অথচ এখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার যুগান্তকারী কাজ করছে। সন্তানের শিক্ষা উপবৃত্তি এখন মায়ের মোবাইলে পাঠানো হচ্ছে।
নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড তৃণমূলে তুলে ধরতে মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে গ্রাম বাংলার মায়েরা যাতে শেখ হাসিনা ও নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করে, তার জন্য তাদের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ একাজ করবেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পলাশী মুৎসুদ্দীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ।
বক্তৃতা করেন ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাসন্তী প্রভা পালিত, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আকতার প্রমূখ। আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনে মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। সম্মেলনে সংগঠনের বাৎসরিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।