চট্টগ্রাম, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে মানুষের ঘনত্ব অনুসারে জমির সংকট রয়েছে।

তাই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে জমির সীমাবদ্ধতা অনুসারে সাশ্রয়ীমূল্যে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের চাহিদা বুঝে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে। এতে কৃষি ও আবাদি জমি রক্ষার পাশাপাশি আবাসন সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে ।

আজ সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের মেয়র দপ্তরে রিয়েল এস্টেট হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সভাপতি আবদুল কৈয়ূম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাত করতে এলে মেয়র তাদের এসব কথা বলেন।

এসময় প্যানেল মেয়র মো.গিয়াস উদ্দিন, রিহ্যাবের কো-চেয়ারম্যান মাহবুব সোবাহান জালাল তানভীর, সদস্য নাজিম উদ্দিন, মোর্শেদুল হাসান, আব্দুল গাফফার নিয়াজি, মিজানুর রহমান, শারিস্থ বিনতে নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির গুরুত্ব বিবেচনায় বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ, মিরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন ও সড়ক সম্প্রসারণ, মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ফলে চট্টগ্রাম নগরী ওয়ান সিটি টু টাউনে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আবাসনের ক্ষেত্রে রিহ্যাবও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। তিনি নগরীতে যেখানে চসিকের খালি জায়গা আছে সেখানে খেলার মাঠ ও শিশুপার্কসহ নগরবাসীর জন্য আরো কি ধরনের বিনোদনমূলক প্রকল্প নেয়া যায় তা রিহ্যাব নেতৃবৃন্দকে ভেবে দেখতে বলেন।

রিহ্যাব সভাপতি মেয়রের নিকট আবেদন জানিয়ে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী আবাসন ব্যবসার ক্ষেত্রে রিহ্যাবের সদস্যপদ ও সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী এ নিয়ম না মেনে ব্যবসায় পরিচালনা করছে।

কর্পোরেশন যাতে এ ধরণের অবৈধ প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীকে নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন না করে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তিনি মেয়রের নিকট অনুরোধ জানান।

এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কমিটিতে একজন রিহ্যাব প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি, রিহ্যাবের সদস্যদের সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনুমোদনের ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সাভিস চালু, প্রকল্পের নির্মাণাধীন মাটি ও বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নিদিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া, দিনের বেলায় প্রকল্পের মালামাল পৌছাতে অনুমতি প্রদানের অনুরোধ জানান।

মেয়র তাদের প্রস্তাবন শুনে বলেন, চসিকের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব তা করা হবে।

মশা নিধনে শুরু হলো চসিকের মাসব্যাপী বিশেষ অভিযান

চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় তা রোধে আজ মঙ্গলবার থেকে চতুর্থ দফা বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে গত ৫ আগস্ট থেকে মশক নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয় যা ধারাবাহিকভাবে চলছে।

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট তারিখে ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রাশ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে ২৫ জন করে স্প্রেম্যান মশক নিধন কাজে নিয়োজিত থাকবে। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাগণ ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বরত পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারগণ এ কাজের তদারকি করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *