করোনাকালে করোনা চিকিৎসার অত্যাবশ্যকীয় একটি যন্ত্র যেটা দিয়ে রোগীর শরীরে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা নিরূপন করা হয়। এর ফলে রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশ সহজ ও দ্রুততর হয়, বাঁচানো যায় মৃত্যুর হাত থেকে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষের উদ্যোগে সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) এর উপ-কমিশনার শ্যামল মুখার্জির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরায় যে ৩০ টি পালস্অক্সিমিটার প্রদান করা হয় তারই একটি গাভার চরের বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা পল্লীর সুবিধাভোগীদের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরার উপস্থিতিতে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক অসিম কুমার বিশ্বাসের হাতে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা পল্লীর সুবিধাভোগীদের করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পালস্অক্সিমিটারটি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত ঘোষ, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব রনজিত কুমার ঘোষ, সদস্য মিলন বিশ্বাস রুদ্র, স্বেচ্ছাসেবী মনিরুল ইসলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা এইরকম মহতী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করেন। তিনি সাতক্ষীরাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধৈর্য ধরে করোনা মহামারী মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরের লোকজন যে যার অবস্থান থেকে করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় যার যার অবস্থান থেকে সামর্থ্য মতো এগিয়ে এলেই সমন্বিতভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব।
ডাক্তার সুব্রত ঘোষ বলেন, শ্যামল মুখার্জি মতো দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা সাতক্ষীরার কৃতি সন্তানরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে আমরা সমন্বিতভাবে করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে সাতক্ষীরাবাসীকে তথা বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে পারব। আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখি এবং করোনামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে নিজেকে নিয়োজিত করি।