স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন, মুজিব বর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও দেশরত্ম শেখ হাসিনার উন্নয়ন উদ্যোগ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা, আবৃত্তি, সংগীত ও স্বরচিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ ও জেলা বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের যৌথ আয়োজনে রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন যুগ্ম সচিব কবি শাহ্ মোহাম্মদ সানাউল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ’র প্রধান সমন্বয়ক কবি আসলাম সানী।
বঙ্গবন্ধু আবৃতি পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান (মন্ময় মনির)’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গীতিকার সুজন হাজৎ, শিশু সাহিত্যিক সুজন বড়–য়া, যুগ্ম সচিব কথা সাহিত্যিক শাফায়াত শফিক, শিশু সাহিত্যিক রহীম শাহ্, ছড়াকার ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের অমর কীর্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সামাজিক, রাজনৈতিক, দার্শনিকসহ বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। বাঙালি জাতির হৃদয়জুড়ে বঙ্গবন্ধু ছিল এবং থাকবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ ঘটাতে। যে শক্তির জাগরণে মানুষ উত্তীর্ণ হয় পূর্ণতার দিকে। সুপ্ত-নিদ্রিত মানুষকে জাগিয়ে, আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করে স্বাধীন করেছেন বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’ অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন নাসিমা বেগম, খুরশিদ জাহান বৃষ্টি, নুসরাত জাহান, শর্মিষ্ঠা বড়ুয়া চৌধুরী, অলিতাজ মনি, প্রমা প্রদীপ্তি বড়ুয়া, অপূর্বা সুদিপ্তী বড়ুয়া, সিরাজুল ইসলাম, সৌহার্দ সিরাজ, স ম তুহিন, আরশি বাউল প্রমুখ।
এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন মনিরুজ্জামান ছট্রু, স্বপ্না চক্রবর্তী, অনিষা রায়, তাছনিমাহ তুষ্টি, তামান্না জাবরিন, মুহাম্মদ মহাথির রাহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজী মোমীন উদ্দীন, মনিরুজ্জামান মুন্না, আলতাফ হোসেন বাবু, আব্দুর রহমান, গাজী হাবিবসহ স্থানীয় কবি-সাহিত্যিক ও শিল্প-সাংস্কৃতিক কর্মী। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাচিকশিল্পী সৈয়দ একতেদার আলী।