ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার কলারোয়ার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মোঃ ইমদাদুল হক তথ্য জালিয়াতি করে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় তার নিয়োগ বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন তারই বন্ধু মোঃ ইদ্রিস আলী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রভাষক মোঃ ইমদাদুল হক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অভিযোগকারী ইদ্রিস আলীও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী।

২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ২০২০ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারি। এজন্য তারা কেউই আবেদন করতে পারেননি। কারণ তাদের ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ১০ মাচ।

কিন্তু ইমদাদুল হক পরীক্ষার ফল বের হওয়ার আগেই তথ্য জালিয়াতি করে মিথ্য তথ্য দাখিল পূর্বক আবেদন করেন এবং চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। একই সাথে চলতি বছরের ০৭ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভিরোল ফরম পূরণ ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ইমদাদুল হক ০৭ আগস্ট ভিরোল ফরম পূরণ করেন এবং কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে কাগজপত্র জমা দেন। এরপর চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়ে তিনি ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগে যোগদান করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অজ্ঞাত কারণে তাকে ০১ সেপ্টেম্বর যোগদানের তারিখ দেখিয়ে এমপিওকরণের কাগজ পাঠান।

অভিযোগপত্রে মোঃ ইমদাদুল হকের নিয়োগের প্রতিটি পর্বে জালিয়াতির তথ্য উত্থাপন করে তার নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানানো হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমি সঠিক সময়ে অনার্স পাস করেছি এবং ১৭তম নিবন্ধন পরিক্ষায় অংশ নিয়েছি। সেখানে আমার ফলাফল চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য বিবেচিত হয়। তারপর আমার সব কিছু ভেরিফাই করে আমাকে চাকরি দেওয়া হয়। যে অভিযোগটা করা হয়েছে সেটা মিথ্যা, বানোয়াট। আপনারা অনুসন্ধান করে সত্যটা তুলে ধরুন। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *