ডেস্ক রিপোর্ট : চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এসময় তার বাসা থেকে বাসা থেকে বিপুল পরিমাণে ওয়াইন, ভয়ঙ্কর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরীমনিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বাংলাদেশ জার্নাল কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বুধবার রাজধানীর বনানীর ১৯ নং রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে বিকেল ৪টায় এ অভিযান শুরু হয়। আড়াই ঘণ্টার অভিযান শেষে পরীমনিকে আটক করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাবের একটি সূত্র জানায়, পরীমনির বাসা থেকে প্রায় ৫০-৬০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার কারা হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় র্যাব অভিযান পরিচালনা করেছে। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে, নিজের ফেসবুক পেইজ লাইভে এসে পরীমনি বলেন, পুলিশ পরিচয়ে কে বা কারা অভিযান চালাচ্ছে। যারা এসেছে তারা পুলিশ নাম দিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে। কেউ লাল পোশাকে কেউ সাদা পোশাকে আসছে।
তিনি অভিযোগ করেন, তারা দরজার সামনে এসে আমাকে বলছে আমার পুলিশ দরজা খুলেন। আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তবে আমি দরজা খুলব না। কোন পুলিশ এভাবে অভিযান চালায় না। বাসায় আমার বয়স্ক নানা আছেন।
লাইভে পরীমনি বলেন, আমি খুব ভয় পাচ্ছি। সাংবাদিক বা পুলিশ আপনারা কেউ আসেন। অনেক সময় ধরেই আপনার লাইভটি দেখছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ না আসবেন আমি লাইভটি চালাবো।
তিনি আরও বলেন, ডিসি হারুন ভাইকে (তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ) ফোন দিয়েছি উনি জানিয়েছেন আমাদের কেউ যায়নি। তবে অল্পসময় পরেই পরীমনির ওই লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।
লাইভে দেখা যায়, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দরজা খুলেছেন। ততক্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসার সবার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। পাশাপাশি পরীমনির লাইভ বন্ধ করার জন্য বলেন। পরে তিনি লাইভ বন্ধ করেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ-হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে নায়িকা পরীমনি সংবাদ শিরোনাম হন।