স্টাফ রিপোর্টার : সরকার তার কর্মকান্ড দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি অনেকটাই খাটো করে ফেলেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন একটি গ্রহনযোগ্য গনতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে না পারলে দেশে তালেবানি শক্তির উত্থান ঘটতে পারে। তিনি বলেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সরকারের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
এজন্য নতুন করে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে তাতে সরকার ২০১৮ ্র মতো আরেকটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে দেশে আবারও পরিবারতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ একটি অগনতান্ত্রিক দেশে পরিনত হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ নুরুল আম্বিয়া আজ শনিবার বাংলাদেশ জাসদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার কাজেম আলীর সভাপতিত্বে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি আরও বলেন, দেশে ২০১৮ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন হয়েছে একথা আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল দলই স্বীকার করে।
দেশের উন্নয়নে যে টাকা খরচ হয়েছে তার অর্ধেক কিংবা তারও কম টাকায় এ ধরনের উন্নয়ন অন্যান্য দেশে হয়েছে উল্লেখ করে শরীফ নুরুল আম্বিয়া আরও বলেন, এই টাকা সরকারের নিকটে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তা খেয়ে ফেলেছে। মিডিয়া ও জুডিসিয়ারি কেউই স্বাধীন নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
জনগনের কোন ক্ষমতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এই ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এজন্য একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সবার মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে। যে দল ক্ষমতায় থাকবে তার অধীনে নির্বাচন হবে এমন প্রত্যাশা করা হলেও আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে এই সরকার। দেশ এখন গভীর রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পলিটিক্যাল সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করে যে প্রক্রিয়ায় সরকার এগোচ্ছে তাতে গনতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে না। জনগনের ক্ষমতা ও পলিটিক্যাল সিস্টেম ফিরিয়ে আনতে হবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, রফিকুল ইসলাম খোকন, শাজাহান আলী সাজু, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, ওয়ার্কাস পার্টির এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, দেবাশীষ দাস, আশরাফ সরদার, মকবুল হোসেন, হায়দার আলী শান্ত, কাজী নাসিরুদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল্লাহ্ আল হাবিব প্রমুখ।