ন্যাশনাল ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়।

তিনি আজ রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় এনজিও’র তামাক বিরোধী মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। উন্নয়ন সমন্বয় চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাঠে নয়, নয়াপল্টনের রাস্তায় করতে চায়’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে এবং আশেপাশে এতো মাঠ থাকতে উনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্যে কি! নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়িঘোড়া ভাংচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এই উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।’

‘কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না’ বলে মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি এবং বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারতো না। বরং বাধা তারা আমাদের দিয়েছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে সারাদেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে।

অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে! একটা মিটিং পন্ড করতে দু’টি পটকাই যথেষ্ট। যে দিন সভা হয় তার দু’-তিনদিন আগে তিন-চারটা পটকা ফুটলেই তো মিটিং পন্ড। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছি যাতে করে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।’
জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠি আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সাথে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়, কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।’

হাছান আরো বলেন, ‘বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান তন্মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন- বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ।’

তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করবো, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কি বলছেন সেটাও শুনবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *