আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় কোরবাণির পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে। কঠোর লকডাউন শিথিল করার পরবর্তী সময়ে শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিশাল পশুর হাটে মানুষের উপচে ভিড় জমে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উদাসীনতা চোখে মেলে। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই, কারো মাস্ক থাকলেও মুখের অর্ধেক অংশে দেখা যায়। আবার কারো মাস্ক পকেটে, কাউকে মাস্ক হাতে নিয়ে বাজারে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। সাতমাইল, আঠারমাইল, তালা, পাইকগাছা, বাঁকা, বড়দল, চাঁদখালি, ব্যাংদহা, গোবরদাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজারের অধিক গরু এসেছিল হাটে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়নি। হাটে মহিষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

বাজার ও বাজার সংশ্লিষ্ট ওয়াপদার সড়কে গরু ছাগল বেধে রাখা হয় খরিদ্দারদের দেখার জন্য। গরুর খাটালে গরু রাখার পর গরুর ব্যাপক ভীড় হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গরু, ছাগল, ভেড়া বেড়ী বাঁধের উপর বেধে রেখে বিক্রয় করা হয়। হাজার হাজার খরিদ্দার বারবার গরু দেখে পছন্দ করা ও দরাদরি করতে ব্যাপক ভীড়ের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশানর (ভূমি) শাহিন সুলতানা পুলিশ ও আনসার নিয়ে বারবার গরু হাটে পরির্দন করে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং ভীড় এড়িয়ে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে গরু ক্রয়-বিক্রয় কাজ করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন।

গরু কিনতে আসা ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের আঃ করিম বলেন, বাজারে গরুর দাম সন্তোষজনক। খুব বেশিও না আবার কমও না। আমি ৬০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি। সাড়ে ৩ মণের বেশি মাংশ হবে বলে আশা করছি ।

বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, আমি ১টি গরু নিয়ে এসেছিলাম, ৯৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। বাজারে দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে।

হাটের ইজারাদার আব্দুল খালেক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনার চেষ্টা করছি, মানুষকে সচেতন করছি কিন্তু সচেতন হচ্ছে না। বাজারে গরু আমদানি ভাল। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসবে, ক্রেতার সংখ্যা ততই বাড়বে বলে আশা করছেন বাজার কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *