ডেস্ক রিপোর্ট : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী পবিত্র মাহে রমজানকে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও তাঁর আতিথেয়তার মাস বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মাসে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি মর্মার্থ উপলব্ধি করে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি প্রতিটি মসজিদকে পবিত্র কুরআনের কেন্দ্র বা ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও রোববার পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের এক মাহফিলে অংশগ্রহণকারী ক্বারীদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় একথা বলেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পবিত্র রমজানে আল্লাহ তায়ালার আতিথেয়তা গ্রহণ করার সুযোগ সবার জন্য অবারিত হলেও তারাই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে যারা বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করার দৃঢ় মানসিকতা পোষণ করে এ কাজে পা বাড়ায়।সেইসঙ্গে আল্লাহর আতিথেয়তা গ্রহণ করার জন্য মহান রব্বুল আলামিনের কাছে তৌফিক বা সামর্থ্য কামনা করাও জরুরি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এই মাস পাওয়ার পরও যে ব্যক্তি আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারল না তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই। তিনি নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত ও কুরআনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম প্রধান উপায় বলে বর্ণনা করেন।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, কুরআনকে বার বার পড়তে হবে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কুরআন হচ্ছে মহানবী (সা.)’র মুজিযা। মহানবীর ধর্ম যেহেতু চিরকালীন, তার মুজিযাও অবশ্যই চিরকালের জন্য। ইতিহাসের প্রতিটি পর্বেই মানুষ তাদের জীবনযাপনের জন্য কুরআন থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

পবিত্র কুরআনকে বিশ্বনবী (সা.)-এর চিরন্তন মুজিযা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, এই মহাগ্রন্থে সকল যুগের সকল মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক, আধ্যাত্মিক ও রাষ্ট্রীয় নির্বিশেষে সকল প্রয়োজন মেটানোর উপাদান রয়েছে।

তিনি বলেন, কুরআনের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পবিত্র আত্মা ও পরিশুদ্ধ অন্তরের প্রয়োজন যা তরুণ ও যুব সমাজের রয়েছে। সব বয়সের মানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজকে তিনি পবিত্র কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *