স্টাফ রিপোর্টার : ইউপি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানাগেছে।

বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান অসলের নৌকা প্রতিক বিজয়ের লক্ষে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কাজ করেছে তাদের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি খুজে বেড়াচ্ছে স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালানী একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ।

সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ কেউ হাটে, বাজারে উঠতে পারছেন না। আবার জীবন বাঁচাতে ঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বসবাস করছেন নৌকা প্রতিকের কর্মী-সমর্থক প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।

সূত্রে জানাগেছে, নৌকার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করায় বৈকারী ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার নির্দেশে খলিলনগর গ্রামের আহসান সরদারের ছেলে একাধিক নাশকতা ও মাদক মামলার আসামী গোলাম সরোয়ার, কালিয়ানি গ্রামের মানিক সরদারের ছেলে স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসায়ী হারুণ, কাথন্ডা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম,

বৈকারী গ্রামের আব্দুল ছালেকের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শিমুলসহ এলাকায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ নৌকার কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে পায়তারা চালাচ্ছে। তালিকা করে বাড়ি বাড়ি খুজে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা।

বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন থেকে চরম নিরাপত্তাহীনায় ভুগছেন যুদ্ধপরাধ মামলার স্বাক্ষী বিরঙ্গনা সফুরা খাতুনের দুই ছেলে রেজাউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম, জামাত নেতা মাও. আব্দুল খালেক মন্ডলের অস্ত্র মামলার স্বাক্ষী বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা আ’লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফাজ উদ্দীন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান, বৈকারী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ

সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজিদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন, সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদ হোসেনসহ নৌকার প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মী।

নৌকা প্রতিকের কর্মী-সমর্থকরা কেউ-কেউ হাটে বাজারে উঠতে পারছেনা। আবার অনেকে জীবন বাঁচাতে ঘর-বাড়ি ছেড়ে সাতক্ষীরা শহরে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, ইউপি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ওই সমস্ত জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মোস্তফার হয়ে গত ২৭ অক্টোবর বিকালে কয়ারপাড়া নামক স্থানে প্রথম দফায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলের দুই ছেলে ইনজামামুল হক ইনজা ও জহির রায়হান হৃদয়সহ তার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ৮ জন কে আহত করে।

এবং ১১নভেম্বর নির্বাচনের দিন সকালে খলিলনগরে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান অসলের গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা অসলে সহ ১০জন কর্মী-সমর্থক মারাত্বক ভাবে জখম হয়। আহতরা এখনও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *