ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। শফিকুল ইসলাম মিলন সদর উপজেলার বৈকারী ৪নং ওয়ার্ডের মৃত. নূর মোহাম্মদের ছেলে।
সূত্রে জানাগেছে, আসন্ন ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউপি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সদরের বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান অছলে।
এদিকে, বৈকারী ইউপি নির্বাচনে নৌকা বিজয়ের লক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী গণসংযোগ, পথসভাসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু বৈকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান অছলের নৌকা প্রতিকের কর্মী ও সমর্থকদের প্রচার প্রচারণা বাাঁধা গ্রস্থ করতে ও নৌকা প্রতিককে পরাজিত করে জামাত সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্বাচিত করার মানষে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন শফিকুল ইসলাম মিলন নামের এক জৈনক ব্যক্তি। বৈকারী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট এই মিলন।
তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাদক, সন্ত্রাসসহ ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে। যার নং- জিআর-১০৪০/১১, জিআর-৪০৮/৬, জিআর-৩৫৭/৬, জিআর-৪৬৭/১৮, জিআর-৫৮/১৭, জিআর-৪৮/১৮, জিআর-৬০/১৮, জিআর-৩৫৪/১৮।
গত ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ কালে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর জামাত সমর্থকদের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। বৈকারী ৪নং ওয়ার্ডে বিজিবি বিওপির দক্ষিণ পাশে রাত ১১টার দিকে জামাত, নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে জামাত সমর্থক চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ৬০/৭০ জন জামাত-শিবির কর্মী স্থানীয় নূর মোহম্মদের ছেলে মাসুম ও মিলনের বাড়ির উঠানে গোপন বৈঠক করছিলো।
একই সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলের ৮/১০জন কর্মী নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী গণসংযোগে গেলে কুখ্যাত রাজাকার জহিরুল ইসলাম টিক্কা খানের ভাগনে নুরুজ্জামান মেঝ খোকা, অস্ত্র ও মাদকসহ ১৫টি মামলার আসামী সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মিলন, জামাত নেতা আব্দুর রহিম, ইজরাইল হোসেন, মাও. রহিম উদ্দীন, নূর মোহাম্মদের ছেলে মাসুম ও মিলনসহ জামাত-শিবিরের প্রায় ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী তাদের পূর্ব থেকে তৈরী করে রাখা মেহগনী, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এসময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অছলের অন্য সমর্থকরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে জামাত নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল উদ্দীনের সন্ত্রাসীরা ওই এলাকা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।