স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজার মাংস পট্টির চলাচলের রাস্তা বন্ধকরে ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের উপর অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণ করেছে একটি পক্ষ। বড়বাজার মাংস পট্টির চলাচলের বহুদিনের রাস্তা ও ড্রেন উম্মক্ত করার দাবি করেছে সাধারণ ব্যাবসায়ীরা।

সোমবার সকালে বড়বাজার মাংস পট্টিতে যেয়ে দেখাযায়, চলাচলের রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই রাস্তার নিচদিয়ে বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন খালের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। ওই ড্রেনের উপরে এই দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

মাংস পট্টির একাধিক ব্যাবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়েছে, এমন কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বানিজ্য করে চলাচলের রাস্তায় গভীর রাতে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে শহরের কামাল নগরের মৃত বাবর আলীর ছেলে ইমান আলী। এতে টাকার বিনিময়ে তার পক্ষে সরাসরি কাজ করছে বাজারের প্রভাবশালী কয়েকজন।

এব্যাপারে মাংস ব্যাবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক গতবছর প্রাণ সায়রের খাল ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরে আবারও মাংস পট্টিতে রাস্তা ও ড্রেন জবরদখল করে চারটি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে চলাচলের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের জায়গা দখল করে রাতারাতি অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণ দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চলাচলের রাস্তা টি উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

মাংস ব্যাবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন জানান, বহুদিনের পুরাতন রাস্তা দখল করে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বাজারের সবার চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। চলাচলের পথ উন্মুক্ত করতে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

জানতে চাইলে সুলতানপুর বড়বাজার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদের জানান, আমাদের কমিটির কাউকে কিছু না জানিয়ে মাংস পট্টির রাস্তা বন্ধ করে রাতারাতি টিন দিয়ে ছাউনি করে চারটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। আমি পৌর মেয়র সাহেব কে বিষয়টি জানিয়েছি। কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করা হবে।

অপরদিকে মাংস পট্টির চলাচলের রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণকারী ইমান আলী বলেন, পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। দিনে বাজারে ভিড় থাকায় রাতে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ করেছি।

বড়বাজার কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, মাংস বাজারের যে দোকান টি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটি ইমান আলীর দোকান। তার জায়গা ছিলো পিছনে। জেলা প্রশাসনের অবৈধ উচ্ছেদের পর এখন সে সামনে এসে চলাচলের জায়গায় দোকান করায় সমস্যা দেখা দিয়েছ। এতে একটু ক্ষতি হবে। সে যেভাবে ঘর নির্মাণ করেছে তাতে গাড়ি চলাচল করতে পারবেনা। মানুষ যেতে পারবে। রাতারাতি দোকান ঘর নির্মাণ কাজকরা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। এছাড়া সুলতানপুর বড়বাজারের যত পানি দোকানের নিচর ওই ড্রেনদিয়ে খালে পড়ে। ওখানে কোনো সমস্যা হলে আমরা দেখবো। অর্থ লেনদেনের বিষয় আমার জানা নেই।

তবে, এব্যাপারে বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ী শেখ আজাহারুল ইসলাম জনি, মাসুম বিল্লাহ, নজরুল ইসলামসহ বহু ব্যবসায়ী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবৈধ ভাবে নির্মানাধিন দোকানঘর উচ্ছেদ করে মাংস পট্টির চলাচলের পথ উম্মক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *