রাহাত রাজা : মাশরুম এক প্রকার ছত্রাক। এটা একটি সুস্বাদু খাবার। বর্তমানে বাংলাদেশেও মাশরুম খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, কিন্তু সবধরনের মাশরুম খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। পৃথিবীতে প্রায় ৩ লাখ প্রজাতির মাশরুম রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার প্রজাতি খাওয়ার অযোগ্য। আনুমানিক ১০ হাজার প্রজাতির মাশরুমের ওপর গবেষণা চলছে। এদের ভেতরে মাত্র ১০ প্রজাতির মাশরুম খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে ঋষি মাশরুম, গুটি বা বাটন মাশরুম, মিল্ক হোয়াইট মাশরুম,
ওয়েস্টার মাশরুম, স্ট্র মাশরুমের চাষ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ লাভজনক হওয়ায় অনেকে মাশরুম চাষে উদ্বুর্দ্ধ হচ্ছেন। মাশরুম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। ক্ষুদ্র বা ব্যাপক পরিসরে মাশরুম চাষ করা যায়।
ক্ষুদ্র পরিসরে মাশরুমের চাষ করে সাফল্য পেয়ে বৃহৎ আকারে মাশরুম চাষে
ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন সাতক্ষীরার তরুন উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন।
কৃষিবিদ আমজাদ হোসেনের সহযোগীতায় সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে মাশরুম চাষে সাড়া ফেলেছেন সাদ্দাম হোসেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন কসমিক মাশরুম সেন্টার যার মাধ্যমে মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার হাজারও তরুন উদ্যোক্তা।
বাড়িতে বসেই মাশরুম চাষে আয়করা সম্ভব, ফলে গৃহিনী থেকে শুরু করে
ছাত্রছাত্রীরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এই মাশরুম চাষের।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা হর্টিকালচার সেন্টারে কসমিক মাশরুম সেন্টার
আয়োজিত মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণে ৫ম ব্যাপের অংশগ্রহনকারী ৩০ জন উদ্যোক্তারা হাতে কলমে মাশরুম চাষ এর প্রশক্ষিণ গ্রহন করেন।
অংশগ্রহনকারীদের অনেকেই বলেন প্রকৃতপক্ষে দারিদ্র্য বিমোচনে মাশরুম একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে মনেকরছি এজন্যই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিচ্ছি।
মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাতক্ষীরা
হর্টিকালচার সেন্টার এর প্রধান উদ্যানতত্ত্ববিদ মো: আমজাদ হোসেন বলেন
জীবন ধারণের জন্য প্রত্যেকটি মানুষই কর্ম খুঁজে এবং সেই কাজের মাধ্যমেই
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সেই চাওয়া-পাওয়ার আচ্ছাদনে বিচার
বিবেচনায় সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট কাজগুলোই সবাইকে আকর্ষণ করে। মাশরুম চাষের মাধ্যমে যে কেউ আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।
মাশরুম চাষ করতে গেলে সর্বপ্রথম সঠিক কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি। কিছু লোক একত্রে মিলেমিশে মাশরুম চাষ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব। ঘরে বসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করা যায়। গ্রাম বা শহরের বেকার যুবকরা এই মাশরুম চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেন।