ডেস্ক রিপোর্ট: ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি বুধবার মধ্যরাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। সূত্র: দি নিউজ, ডন

১২ আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানের বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ থাকলেও তার তিন দিন আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলো। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ফেডারেল কেবিনেটের কার্যকারিতাও শেষ হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়, তা হলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে। সে হিসাবে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নতুন পার্লামেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা তিন দিন ধরে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আলোচনা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। তবে তারা সমাধান করতে না পারলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেবেন। তারাই তিন দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম নির্বাচন করবেন। তারাও ব্যর্থ হলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন দুই দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার যাত্রা শুরু করেছিল। তবে গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরানের সরকার। পরে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে।

এর পর থেকে নানা আইনি লড়াই সামলাতে হচ্ছে ইমরানকে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে নির্বাচনে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তোশাখানা মামলায় দেশটির আদালত ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় এ ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। পরে সেদিনই লাহোরে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন ইমরান খান। তাকে এখন পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *