স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট স্থগিত হওয়ায় বাস টার্মিনালের রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ শ্রমিকদের উপর হামলা করেছে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন, মাথা মোটা আক্তার ও আক্তারুজ্জামান। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট আজ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। তবে ভোটার তালিকায় কারচুপি, মৃত ব্যক্তিদের ভোটার বানানোসহ নানা অভিযোগ এনে সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে হাইকোর্ট আগামী ৩ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করে দেন। ভোট স্থগিতের জেরে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে রাস্তা অবরোধ করে দেয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন, গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মাথা মোটা আক্তার ও আক্তারুজ্জামান, মাদক ব্যবসায়ী শাহাজান, মহাসিন আলম রাজুর নেতৃত্বে অশ্রমিকরা।
এসময় তারা নির্বাচনের দাবিতে গালিগালাজ করে স্লোগান দিতে শুরু করে। তখন সাধারণ শ্রমিক হাসান, মিলন, বাবু, মেহেদী হাসান বাড়ি যাওয়ার জন্য টার্মিনাল পর্যন্ত পৌছানোমাত্র সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন, গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মাথা মোটা আক্তার ও আক্তারুজ্জামান, মাদক ব্যবসায়ী শাহাজান, মহাসিন আলম রাজু হঠাৎ হাসান, মিলন, বাবু ও মেহেদী হাসানের উপর হামলা করে। জীবন বাঁচাতে হাসান, মিলন, বাবু ও মেহেদী হাসান দৌঁড়ে দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকা অফিসে আশ্রয় নিলে সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন, মাথা মোটা আক্তার ও আক্তারুজ্জামানসহ ২০/২৫ জন অশ্রমিক কালের চিত্র পত্রিকা অফিসে ইট পাটকেল মেরে হামলা চালায়।
বিষয়টি সাতক্ষীরা থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ দ্রুত বাসটার্মিনালে এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করে। তখন মিলনের নেতৃত্বে অশ্রমিকরা হাইকোর্টের আদেশ মানিনা বলে টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং রাস্তার আড়াআড়ি বাস দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
এসময় প্রথমে সাতক্ষীরা থানার ওসি গোলাম কবির ও পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) মোঃ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং শান্ত থেকে আদালতের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর অনুরোধ করেন।
সাতক্ষীরা থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এছাড়া আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধে বাস টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।