চট্টগ্রাম, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন, যা চট্টগ্রামবাসীর আকাক্সক্ষার প্রতিফলন।
তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা রেখে বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল, গভীর সমুদ্র বন্দর, আন্তদেশীয় মহাসড়ক ও রেল যোগাযোগ পরিকল্পনা নিয়ে যেসব কাজ শুরু করেছেন তা সম্পন্ন হয়ে গেলে চট্টগ্রাম নগরীর আঞ্চলিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক হাব।
মেয়র আজ সকালে নগরীর উওর হালিশহর ওয়ার্ডের মহেশখাল সংলগ্ন রাস্তা, ব্রীজ ও প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এতদিন বর্ষা মৌসুমের অতিবৃষ্টির কারণে অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এখন বর্ষা মৌসুম শেষের দিকে। সুতরাং আর কোন ধরণের অজুহাত দেখানোর সুযোগ থাকছে না। অবিলম্বে সবগুলো উন্নয়ন কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, জাইকার সিনিয়র প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকার অর্থায়নে মহেশখাল সংলগ্ন রাস্তা, ব্রীজ ও প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ কাজ জানুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। তবে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে সিসি ঢালাই ব্যতিরেকে রাস্তাটির অন্য কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে নির্বিঘ্নে চলাচল উপযোগী করার জন্য জাইকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিপা এন্টারপ্রাইজকে মেয়র নির্দেশ দেন। তিনি মহেশখালসহ সব মেগাপ্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন।