চট্টগ্রাম, ৪ আশ্বিন (১৯ সেপ্টেম্বর) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের অংশ হিসেবে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে। আমরা কিছু পাওয়ার জন্য কখনো প্রত্যাশা করিনি, আমরা জাতিকে দিতে চাই। এই মতাদর্শে যদি আমরা বিশ্বাসী হই তাহলে জাতি ও বাংলাদেশ শুদ্ধ হবে।
আজ রবিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডেপুটি কমান্ডার মো. শহীদুল আলম চৌধুরী সৈয়দ, আকবরশাহ্ থানা কমান্ডার মো. নুর উদ্দিন, প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের পক্ষে অধ্যক্ষ মো. শামশুদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কায়কোবাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষে চবি প্রভাষক ড. ওমর ফারুক রাসেল। স্বারকলিপি পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সদস্য সরওয়ার আলম মণি, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আবু শহীদ মাহমুদ রনি। মোনাজাত পরিচালনা করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলম।
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্র পাঠ করিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে যারা এদেশে রাজনীতি করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে পুনর্বাসিত স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির ধারায় জাতির পিতাকে অস্বীকার করা হয়।
এ ধারা যেন আর ফিরে আসতে না পারে এজন্য বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মকে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তুলব, যেখানে সব মানুষের উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী আগে মানুষকে খাবার উপহার দিতেন, এখন তিনি গৃহহীনকে ঘর উপহার দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে এদেশে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা নয়, কোন মানুষই গৃহহীন থাকবে না। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের যে গৌরবগাঁথা আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে তা ইতিহাস আকারে তুলে ধরে আগামী প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে ঋদ্ধ করতে হবে।
পতেঙ্গা বে-টার্মিনালের পাশে প্রস্তাবিত ওশান পার্কে একটি স্মৃতিসৌধসহ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে বলে মেয়র এ সময় উল্লেখ করেন। সূত্র-পিআইডি চট্রগ্রাম