দেবহাটা প্রতিনিধি : সদ্য প্রকাশিত সারাদেশের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাধীন সখীপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এসাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এসকল শিক্ষার্থীদের ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবর্ধনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোল্লা সাবীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজের সভাপতি এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

সংবর্ধণাকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন মেডিকেলে চ্যান্স পাওয়ার পর শুধু চিকিৎসক হলে চলবে না। মানুষের মত মানুষ হতে হবে। বড় হয়ে মাটির ঋণ পরিশোধ করতে হবে। মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। বড় ডাক্তার হয়ে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে, কিন্তু মানুষ হওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে প্রথম হওয়া খুলনার ডুমুরিয়ার মেয়ে মীম এর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন এমবিবিএস পাশ করার পর কেউ যেন কসাই না বলে মানব সেবক বলে সে বিষয়ে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

শিক্ষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সিনিয়র প্রভাষক মনিরুজ্জামান মহসিন ও প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক প্রদীপ কুমার মন্ডল। কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন শিহাব যুহরী আবীর। বিজ্ঞান প্রথম বর্ষের থেকে বক্তব্য রাখেন কানিজ ফাতিমা ও আবিদ হাসান তানভীর।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ ও শহীদুল ইসলাম, শিহাব যুহরীর পিতা ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান আলহাজ্জ আকবর আলী, শিক্ষক স্বপন কুমার মন্ডল, আকরাম হোসেন, রনজন কুমার মন্ডল, আজিজুর রহমান, আব্দুর রহমান, নাজমুল হুদা ডালিম, দৌলতুন্নেছা পারুল, পারভীন সুলতানা, আমিনুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, শাহজাহান কবীর, রোকনউজ্জামান, আত্তাবুজ্জামান মধু, সামছুল হুদা কবির খোকন, রহিমা সুলতানা, মোস্তফা আবু রায়হান সহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত ৫জন কৃতি শিক্ষার্থীরা হলেন, উপজেলার সখীপুরের বাসিন্দা ও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান আলহাজ্জ আকবর আলী’র ছেলে শিহাব যুহরী আবীর (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ), কায়েস হোসেন (মানিকগঞ্জ কর্নেল আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজ), খেঁজুরবাড়ীয়া গ্রামের মেয়ে মমতাজ পারভীন (খুলনা মেডিকেল কলেজ), আলিপুর গ্রামের মেয়ে সুরাইয়া রুশনি (বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে) এবং কালিগঞ্জের সাইহাটী গ্রামের ছেলে ইমরান হোসেন (যশোর মেডিকেল কলেজে)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *