চট্টগ্রাম, ২২ কার্তিক (৭ নভেম্বর) : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে আজ তাঁর টাইগারসস্থ দপ্তরে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত মি. ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাত করেন। মেয়র রাষ্ট্রদুতকে স্বাগত জানান।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুপ্রতীম দেশ এবং এ দুই জাতি মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দুই দেশেই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে আজকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দুই দেশেই কৃষিপ্রধান দেশ, অন্যদিকে দু’দেশে পোষাকশিল্পের অগ্রগতি অনেক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে যেরকম আন্তরিক ছিলেন ঠিক তেমনি ভিয়েতনামের হো চি মিন আন্তরিক ছিলেন বলেই ভিয়েতনাম আজ বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
মেয়র বলেন, চসিক সাগর সংলগ্ন এলাকায় ওশান এমিউজমেন্ট পার্ক এবং সরকারের উদ্যোগে স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যা চট্টগ্রামসহ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে উজ্জ¦ল করবে। এ পার্কটিতে বিনিয়োগে ভিয়েতনাম এগিয়ে আসলে পর্যটন ক্ষেত্রে বিশাল খাত তৈরি হবে এবং উভয়েই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে। তিনি নগরীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভিয়েতনামের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুতে সমৃদ্ধ। ভিয়েতনাম সব সময় উদ্ভাবনী বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে পর্যটন শিল্পে ভিয়েতনামের যে অভিজ্ঞতা আছে তা চট্টগ্রাম নগরীতে কাজে লাগাতে আমরা আগ্রহী।
অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী হতে চাই। এ ব্যাপারে চসিক মেয়রের সাথে যেসব আলোচনা হয়েছে তার একটি ইতিবাচক বার্তা আমি আমাদের সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ে মেয়রের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে তার সরকারকে অবগত করবেন বলে জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ইনফরমেশন এন্ড সার্পোট সেন্টারের জেনারেল ডাইরেক্টর ট্রং ডু (মি. ডু), ডেপুটি জেনারেল ডাইরেক্টর মিস. এলিজা, সন হা মিনারেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির ট্রান দিন থানাহ, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. মঞ্জুর কাদের প্রমূখ।