চট্টগ্রাম, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেছেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
শিশুরা যেখানে অবস্থান করুক না কেন, তাদের প্রতি যত্নবান হতে না পারলে আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেওয়া ও সুনাগরিক পাওয়া কঠিন হবে। এ কারণে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন বাস্তবায়ন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ আইন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সকল প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে ‘শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন ২০২১’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইউনিসেফ ও চসিক আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের অতি: জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদ উল্লা মারুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, চসিক বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মাইনুল হোসেন আলী চৌধুরী জয়। উপস্থিত ছিলেন গণ্যমান্য বক্তিবর্গ।
আলোচকরা বলেন, শিশুর জন্মের পর থেকে এক হাজার দিন তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে শিশুদের উপযুক্ত যত্ন নেয়া না গেলে তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে না। শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ না ঘটলে কখনো সুস্থ্য ও দক্ষতাসম্পন্ন জাতি গঠন সম্ভব নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে শ্রমজীবি নারীর আধিক্যের কারণে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন সঠিকভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে শিশুদের দেখভাল করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১২টি সিটি কর্পোরেশন আছে, তার মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অন্যতম বৃহৎ সেবা সংস্থা। এ কর্পোরেশনে বেশ কয়েকটি বস্তি বিদ্যমান। বস্তি এলাকায় বসবাসকারী শিশুরা অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধাবঞ্চিত। শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন-২০২১ এ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, খেলাধূলা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানে যে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সকল মহলের সহযোগিতা অপরিহার্য। তিনি শিশু দিবাযত্নকেন্দ্রগুলোকে ২০২১ সালের প্রণিত আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহবান জানান।
কর্মশালায় শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন সম্পর্কে বিভিন্ন সেবা সংস্থার দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় যে সুপারিশ উপস্থাপিত হয়েছে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।