শেখ আরিফুল ইসলাম আশা : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সলে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় কারাদন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির আপীল নামঞ্জুর করেছেন জেলা জজ আদালত। একই সাথে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এই রায় ঘোষনা করেন। আপীল না মঞ্জুর হওয়া আটক আসামীরা হলেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সামাদ, গোলাম রসুল, আবদুর রকিব, মো. জহুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিএনপি দলীয় একজন সাবেক সংসদ সদস্য সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছরের কারাদন্ড দেন। এই মামলার ৬ আসামীরা জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। অপরদিকে হাইকোর্ট কয়েকজনকে জামিন দিয়ে আপিল মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় জনাকীর্ন আদালতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান ওই ৬ জনের আপিল নামঞ্জুর করেন। একইসাথে তিনি নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে একজন ধর্ষিতা মুক্তিযোদ্ধা পত্নীকে দেখে কলারোয়া হয়ে যশোর অভিমুখে যাচ্ছিলেন। কলারোয়া বাজারে পৌছালে একদল সন্ত্রাসী তার গাড়িবহরে হামলা করে। এসময় গুলি ও বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও এতে আহত হন বেশ কয়েকজন সফরসঙ্গী নেতাকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ। এই মামলায় ৫০ জন আসামীকে কারাদন্ড দেন আদালত। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সাত্তার, সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, দুই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব ও আশরাফ হোসেন সহ বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা।