মুরশিদ আলম নয়ন : আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে পথ হিসাবে খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দীর্ঘকালের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে ঘর নির্মানের ফলে ৪টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে বালিয়াপুর গ্রামে প্রকাশ্যে এঘটনা ঘটে।
বালিয়াপুর মৌজায় খাস খতিয়ানে ৯৭১ দাগে ৩৮ শতক জমি রাজ ভাঙ্গাড় হিসাবে পয়ঃ নিস্কাশন ও যাতায়াতের পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। বর্তমানে ১/১ খতিয়ানে ডিপিআরএস ২২৫৫ দাগে ২৫ শতক জমি পথ হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার নামে রেকর্ড হয়েছে।
উক্ত খতিয়ানের ১১ শতক জমি দীর্ঘকাল তরফাতুল্যাহ দিং বসত ভিটার সাথে ব্যবহার ও দখলীকার থাকায় হাল জরিপে ২৯২ খতিয়ানে ২২৬৯ দাগে ১১ শতক জমি নাগর আলি গাজীর পুত্র তরফাতুল্যা গাজীর নামে প্রিন্ট পর্চা হয়েছে।
খাস খতিয়ানভুক্ত ২৫ শতক জমি দীর্ঘকাল কেউ অবৈধ দখল করেনি, অব্যবহৃত রয়েছে এবং পয়ঃ নিস্কাশনের কাজে ব্যবহৃত ও এলাকাবাসীর পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
একই গ্রামের মৃত জয়দেব সরদারের পুত্র পশুপতি সরদার বাদী হয়ে উক্ত ২৫ শতক খাস জমি নিয়ে মৃত নাগর আলী গাজীর পুত্র হেদায়েত উল্লাহকে বিবাদী করে উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ করেন।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গত ২৪ মার্চ সরেজমিন গিয়ে মাপ জরিপ শেষে লাল পতাকা উত্তোলন করে খাস জমির সীমানা চিহ্নিত করে নির্দ্ধারণ করেন। যা খাস পথ হিসাবে পূর্বের ন্যায় ব্যবহৃত ও পয়ঃ নিস্কাশন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
হেদায়েত হোসেন দিং বলেন, বাদী পক্ষ আইন অমান্য করে বেপরোয়া হয়ে বুধবার (১৪ জুলাই) ভোরে খাস পথ বন্ধ করে ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। বিষ্ণপদ সরদার, শ্মশান সরদার, স্বপন সরদারম পশুপতি সরদার ২০/২৫ জন শ্রমিক নিয়ে নির্মান কাজ শুরু করলে হেদায়েত, আমিরুলরা মৌখিক বাধা দেন।
কিন্তু তারা কোন বাধা মানেননা, থানা পুলিশ যাকে পারিস ডেকে আন, আমরা কাজ বন্ধ করবো না, এমন হুঙ্কার দিয়ে কাজ চালাতে থাকে। থানায় মোবাইল করলে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করে নিতে বলেন।
বাধ্য হয়ে তারা ৯৯৯ নং জানালে এএসআই রুবেল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছে কাজ বন্দ রাখতে বলেন। ততক্ষণে পথ ও পয়ঃ নিস্কাশন পথের মুখ বন্ধ করা হয়ে যায়।
তারা আরও বলেন, তারা খাস পথে ঘর নির্মান করায় হেদায়েত, আমিরুল, জ্যোৎন্সা ও নূর আলমের বাড়িতে যাতয়াতের পথ রুদ্ধ ও পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পরিবারগুলো চরম বিপত্তিতে পড়েছে।
বাড়ি থেকে বের হওয়া কিংবা বাড়িতে যাতয়াতের কোন সুযোগ তাদের রইল না। এব্যাপারে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জন প্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।