শ্যামনগর প্রতিনিধি : শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলীয় মৎস্য ঘের নিয়ে গায়ে পড়ে বিরোধে সৃষ্টিকরে প্রতিপক্ষের অব্যহত হুমকিতে অসহায় ঘের মালিক ভেটখালী গ্রামের মৃত হাজী নূর আলমের পুত্র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দীন আহমেদ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিগোচর করার জন্য তিনি শ্যামনগর থানায় পরপর দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে তিনি কালিঞ্চী গ্রামের মৃত ছাতুল্যাহ গাজীর পুত্র আঃ গফুর গাজী, একই গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ গাজীর পুত্র কেরামত গাজী, মৃত নূরো ভাংগীর পুত্র আলম ভাংগী, মৃত ছফেদ গাজীর পুত্র আঃ মাজেদ, একই গ্রামের মৃত জনাব আলী গাজীর ছেলে মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মৃত সফেদ আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ, মৃত মোকসেদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ সিরাজ ও মৃত ফরমান গাজীর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান ৮ জনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় ৬২১ ও ৯৭৮ নং দুটি পৃথক জিডি করেছেন।
জিডি সূত্র মতে, ভেটখালী মৌজায় ১/৬২ নং খতিয়ানে ১৪৫১ নং দাগের উপর নিজস্ব ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে পানি নিস্কাশনের জন্য ক্যানেল তৈরী করে তারা দীর্ঘদিন পানি নিস্কাশন করে আসছে। ওই ক্যানেল দিয়ে পার্শ্ববর্তী ঘের মালিকগণ এবং জনগন ও পানি নিষ্কাষন করে আসছে।
সম্প্রতি ভারি বর্ষনের কারনে এলাকায় অধিক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমতাঃবস্থায় প্রতিপক্ষরা নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য জনগণের স্বার্থকে তোয়াক্কা না করে পানি নিষ্কাশনের ওই ক্যানেলটি বন্ধ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষরা সংঘবদ্ধভাবে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়।
তাছাড়া আমাকে পথে-ঘাটে মারপিট সহ খুন জখমের হুমকি অব্যহত রেখেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যাতে তাদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ক্যানেল দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা যায় তার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
বিয়ষটি নিয়ে শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, থানায় জিডি হয়েছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।