স্টাফ রিপোর্টার : সদরের তালতলা-মাগুরায় ঘরে ঘরে একদিকে জলাবদ্ধতার পানি, তার সাথে গরু ও পোল্ট্রি মুরগির বর্জ। ময়লা ও আবর্জনার দূর্গন্ধ পানি এলাকায় বিভিন্ন মানুষের ঘরের মধ্যে ঢুকে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে হচ্ছে অনন্ত পনেরটি পরিবারের অর্ধশত মানুষদের। এতে করে জলাবদ্ধতা কবলিত মাগুরা উত্তরপাড়ার পনের টি পরিবারের মানুষদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্রে জানাগেছে, তালতলা এলাকায় মৃত এনায়েত আলীর ছেলে আইনুল হক সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাশে তালতলায় অপরিকল্পিত ভাবে বিল্ডিং নির্মন করে সেখানে তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ছেলে নজরুল ইসলাম গরু পালন ও পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম গড়ে তুলেছে।
প্রতিদিন আইনুলের বাড়ি থেকে তাদের ফার্মের গরুর বর্জ এবং পোল্ট্রি মুরগির ময়লা যত্রতত্র এলাকায় ফেলে রাখে। তাদের ফার্মের মুরগি মারা গেলেও সেসব মরামুরগি যেখানে সেখানে ফেলে দেয় তারা। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে গরুর বর্জ ও মুরগির ময়লা পানি পচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এবং ওই দূর্গন্ধ পানি আশপাশের প্রায় পনেরটি পরিবারের মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকেছে। এতে করে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা কবলিত সাধারণ মানুষ চরম আকারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে।
এব্যাপারে, প্রতিবেশি রফিকউদ্দীনের স্ত্রী আফিয়া খাতুন জানান, আইনুলের বাড়ির গরুর গবর ও পোল্ট্রি মুরগির মলসহ যাবতীয় ময়লা ইচ্ছে করে এখানে সেখানে ফেলে অবর্জনার স্তুপ করে এলাকার পরিবেশ তৈরি করেছে। এতে করে ছোট শিশুদের নিয়ে পানিবন্দি বাড়িতে দিন কাটানো খুবই কষ্ট হচ্ছে।
আবিদার রহমান জানান, আইনুল হক পানি সরার ব্যবস্থা না করে বিল্ডিং নির্মান করেছে। এছাড়া তার বাড়িতে গরু ও পোল্ট্রি মুরগি পালন করে থাকে। ওই গরু ও পোল্ট্রির সব বর্জ যত্রতত্র ফেলে এলাকার পরিবেশ দূষিত করে ফেলেছে।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে আইনুলের বাড়ির পচা দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনার পানি ভেসে এখন আশেপাশের ১৫/২০ বাড়িতে ঢুকেছে। বর্ষার আগে থেকে আনুলের পরিবারের লোকজন কে ময়লা পরিষ্কারের জন্য একাধিকবার বলা সত্তেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
এব্যাপারে তিনি আইনুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।