স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ কালে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর জামাত সমর্থকদের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৈকারী ৪নং ওয়ার্ডে বিজিবি বিওপির দক্ষিণ পাশে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জামাত, নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়।
সূত্রে জানাগেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে জামাত সমর্থক চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ৬০/৭০ জন জামাত-শিবির কর্মী স্থানীয় নূর মোহম্মদের ছেলে মাসুম ও মিলনের বাড়ির উঠানে গোপন বৈঠক করছিলো।
একই সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম, আলমগির কবীর,আনিছুর রহমান, চেয়ারম্যান পুত্র যুবলীগ নেতা ইনজামামুল হক ইনজা সহ ৮/১০জন কর্মী নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী গণসংযোগে গেলে কুখ্যাত রাজাকার জহিরুল ইসলাম টিক্কা খানের ভাগনে নুরুজ্জামান মেঝ খোকা,
ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ ১৫টি মামলার আসামী সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মিলন, জামাত নেতা আব্দুর রহিম, ইজরাইল হোসেন, মাও. রহিম উদ্দীন, নূর মোহাম্মদের ছেলে মাসুম ও মিলনসহ জামাত-শিবিরের প্রায় ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী তাদের পূর্ব থেকে তৈরী করে রাখা মেহগনী, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এসময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অছলের অন্য সমর্থকরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে জামাত নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল উদ্দীনের সন্ত্রাসীরা ওই এলাকা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও জামাত-শিবির সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে জানান, আগামী ১১ নভেম্বর বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল ও নাশকতার পরিকল্পনায় বৃহস্পতিবার রাতে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা নূর মোহাম্মদের ছেলে মাসুম ও মামুনের বাড়িতে শতাধিক বাহিনী নিয়ে গোপন বৈঠক করছিলো।
এসময় নৌকা প্রতিকের সমর্থনে দলীয় সমর্থকরা নির্বাচনী গণসংযোগে যেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাদের বৈঠক দেখে ফেললে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা দা ও লাঠি শোঠা নিয়ে আমার সমর্থকদের ধাওয়া করে। এসময় স্থানীয় লোক জন মোবাইল ফোনে আমাকে অবহিত করলে নৌকা প্রতিকের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়। এবং ঘটনা স্থল থেকে জমাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত লোহার দা ও অর্ধ শতাধিক লাঠি শোঠা উদ্ধার করে।