স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের প্রায় একবছর অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ ইউনিটগুলো এখনও নেতৃত্ব শূন্য। কয়েক মাসের ব্যবধানে সাতক্ষীরা পৌরসভা, কলারোয়া, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গুঞ্জন উঠেছে খুব শীঘ্রই জেলার অন্যান্য ইউনিটগুলোর কমিটি অনুমোদন পাবে। নেতৃত্ব শূণ্য থাকা ইউনিটগুলোর ভিতরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
এখনও পর্যন্ত সদর উপজেলা কমিটি গঠনের জন্য জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ না করা হলেও ইতিমধ্যেই সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পেতে মরিয়া বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান। সে সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক ও ইউনিয়নের জাহানাবাজ গ্রামের কাওছার আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে গ্রুপিং, লবিং ও তদবির মিলিয়ে চলছে তার ব্যস্ত প্রচারণা। তবে ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্ব এই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতার হাতে চলে গেলে তা নিয়ে ছাত্রলীগের পাশাপাশি সরকারকেও ভুগতে হবে বলে অভিমত তার নিজ ইউনিয়নের সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের।
ইউনিয়ন আ’লীগের নেতারা জানান, আওয়ামী রাজনীতির সাথে কখনো জড়িত না থাকলেও বিগত সময়ে পকেট কমিটির মাধ্যমে হাসানুজ্জামানকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক করা হয়।
যেটা নিয়ে আপত্তি ছিলো তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভিতরে। কখনো হাসানুজ্জামানকে তারা সরকার দলীয় কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখেননি। বরং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছিল। যেটা সম্পর্কে সকলে অবগত।
কিন্তু, টাকা দিয়ে এক আ’লীগ নেতাকে ম্যানেস করে তার মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হতে গ্রুপিং লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে বিতর্কিত এই হাসানুজ্জামান যদি উপজেলা ছাত্রলীগের কোন পদে আসে তাহলে সেটা দলের জন্য ক্ষতির বলে জানান তারা।
এব্যাপারে ধুলিহর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বোরহান উদ্দীন, সাধারণ-সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ একাধিক নেতারা বলেন, হাসানুজ্জামান আওয়ামী পরিবারের সন্তান না।
অথচ বিগত সময়ে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে হাসানুজ্জামানকে সাধারণ-সম্পাদক করে পকেট কমিটি গঠন করে তৎকালিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ-সম্পাদক। ছাত্রলীগের পদে থেকেও সরকারবিরোধী একাধিক কাজে লিপ্ত ছিল হাসানুজ্জামান। বিগত সময়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছিল।
তারা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন মারফত শুনছি তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়ার জন্য একটা গ্রুপ চেষ্টা চালাচ্ছে। একারনে আমরা মৌখিকভাবে বিভিন্ন জায়গাতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, জেলা ছাত্রলীগের যেকোন ইউনিটটের কমিটি গঠনে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করছে জেলা ছাত্রলীগ। কোন বিতর্কিত ব্যক্তিদের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। অনেকে অনেকভাবে তদবীর করছে। তবে এতে কোন লাভ হবেনা। একারনে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।