স্টাফ রিপোর্টার : সব সড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগনের সেবায় পাশে থাকতে চান আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে ও যুবলীগ নেতা ইনজামামুল হক ইনজা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে এবং তার ছেলে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইনজামামুল হক ইনজার বিরুদ্ধে চলছে গভীর সড়যন্ত্র।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজপথের পরিক্ষিত নেতা একাধিকবার মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে ও ছেলে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক ইনজা ।

তাকে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে একটি সড়যন্ত্রকারী চক্র বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভয়াবহ করোনা মোকাবেলায় লকডাউনে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য সহয়াতা বিতরনের মধ্য দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অছলে ও তার ছেলে ইনজা যখন বৈকারী ইউনিবাসীদের পাশে থেকে কাজ করছেন ঠিক সেই মুহুত্তে সড়যন্ত্রকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি ঢাকা হাতিরঝিল মগবাজার নয়াটোলা গ্রাম ৫২৭/৬ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের খপ্পড়ে পড়ে শাহজাহানপুর থানার ইন্দ্রপুরী গোলবাগ গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে শান্তা আফরিন সহ কয়েকজন তরুণী সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের শিকার হয়।

পাচারের শিকার শান্তা আফরিন কৌশলে আবার দেশে ফিরে আসে। এবং ২০১২ সালের
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭/৮/১০/১১ সংঘবদ্ধ ভাবে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিদেশে পাচার করার অপরাধ আইনে হাতিরঝিল থানায় শান্তা আফরিন বাদী হয়ে গত ১ জুন ২০২১ ইং তারিখে মামলা করে(এফ আই আর নং-০৩)।

ওই মানব পাচার মামলায় ঢাকা হাতিরঝিল মগবাজার নয়াটোলা গ্রাম ৫২৭/৬ এলাকার
আবুল হোসেনের ছেলে রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় কে প্রধান আসামী
করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ও আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় আব্দুল কাদের, মেহেদী হাসান ও মহিউদ্দীন নামের তিন আসামী কে পুলিশ গ্রেফতার করেন।

এ ঘটনায় গত ২২জুন ইং খ্রি: রাজধানী ঢাকা থেকে পরিচালিত কয়েকটি গণমাধ্যমে
একটি চক্র মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে এবং ছেলে যুবলীগ নেতা ইনজামামুল হক ইনজা কে হয়রানি করতে ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এদিকে, ঢাকা হাতিরঝিল থানা ডিএমপি ঢাকায় দায়েরকৃত চার পাতার অভিযোগপত্রে
কোথাও আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে ও ছেলে যুবলীগ নেতা ইনজার নাম না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হওয়ায় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। জানিয়েছেন ক্ষোভ ও নিন্দা।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, ২০০১ ইং সালে চার দলীয় জোট রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে আসাদুজ্জামান অছলের পরিবারটি বিভিন্ন হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন। সাবেক জামাত দলীয় এমপি যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের মামলার স্বাক্ষীদের সমন্বয়কারী হিসেবে এই মামলার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসাদুজ্জামান অছলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এসব কারনে যুদ্ধাপরাধি খালেক মন্ডল ওরফে জল্লাদ খালেকের ঘনিষ্ঠজন ও জামাত-বিএনপির লোকজন আসাদুজ্জামান অছলে কে বেকায়দায় ফেলতে তার বিরুদ্ধে নানা ভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান জানান, সড়যন্ত্র করে আছলে চেয়ারম্যান কে এলাকা ছাড়া করতে পারলে বৈকারী-কাথন্ডা এলাকায় জামাত-শিবিরের লোকজন আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।

সদর উপজেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মহাশিন কবির পিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অছলে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ভালো সমাজকর্মী। এক সময় বৈকারী ইউনিয়ন ছিলো জামাত-শিবিরের দূর্গ। অছলে চেয়ারম্যান সেই দূর্গ ভেঙে এখন অত্র এলাকা আওয়ামী লীগের ঘাটি তৈরি করেছেন। তার মধ্যে সবসময় সাংগঠনিক ততপরতা বেশি কাজ করে।

সদর উপজেলা আ’লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আফাজউদ্দীন বলেন, বৈকারী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার লক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান অছলের বিরুদ্ধে গভীর সড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

বৈকারী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ২০০২ সাল থেকে অছলে ও আমি ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত নারী পাচারের মতো জঘন্ন কাজ আসাদুজ্জামান অছলের মধ্যে দেখিনি।

ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী জুলু বলেন, আছলে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন ত্যাগী নেতা। তাকে বৈকারী ইউনিয়ন থেকে সরাতে পারলে জামাত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার সুযোগ পাবে। অছলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী পাচারের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত। আমি এঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বৈকারী বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মুক্তার আলী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অছলে কে কোন প্রকারের চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকতে শোনা যায়নি। এখন দেখছি সব সড়যন্ত্র চলছে কার বিরুদ্ধে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা সড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।

সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইনজামামুল হক ইনজা জানান, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বৈকারী ইউনিয়নে বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও উন্নয়ন দেখে তারা এলাকার জনগণদের আবারও অশান্তিরমুখে ঠেলে দিতে আওয়ামী লীগ নেতা আমার পিতা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলের বিরুদ্ধে একটি চক্র গভীর সড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই সড়যন্ত্র এলাকার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করবে। ইনশাল্লাহ সব সড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণের সেবায় পাশে থাকবেন আসাদুজ্জান অছলে চেয়ারম্যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *