চট্টগ্রাম, ১০ আশ্বিন (২৫ সেপ্টেম্বর) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইটি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে গুণগত উৎকর্ষ সাধন করেছেন বলেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নিজস্ব অবস্থানকে প্রশংসনীয় স্তরে উন্নীত করতে সাফল হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রমে কর্মসংস্থানমূলক সুযোগ বাড়িয়ে এর সাথে প্রযুক্তি নির্ভর কারিগরী ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পাঠক্রম অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
মেয়র আজ শনিবার সকালে নগরীর হোটেল সৈকতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জি.এম. আইটি ইনস্টিটিউটের নবীন উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মেয়র নবীন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাকরীর জন্য দৌড়ঝাঁপ করার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তা হয়ে নিজের ও অন্যান্যদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাটা হলো সময়ের চিন্তাভাবনা। এর কারণে একজন নবীন উদ্যোক্তা সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদে পরিণত হতে পারেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর শীর্ষ জনবহুল দেশ চীন পুরো জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে পরিণত করতে পেরেছে বলেই দেশটি এখন উন্নতির ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছাতে পেরেছে। চীনের উদ্যোক্তারা সারা বিশ্বে উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাই আমাদের নবীন উদ্যোক্তাদের মনে রাখতে হবে তারা শুধু একার জন্য নন, তাঁরা দেশ ও দশের জন্যও। তাই তথ্য-প্রযুক্তি এবং জ্ঞান নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব তাদেরকেই গ্রহণ করতে হবে।
মেয়র বলেন, একসময় তৈরি পোষাক শিল্পে কর্মরত নারীদের অনেকে ভালো চোখে দেখতো না এবং খারাপ মন্তব্য করতো। অথচ তারাই আজ বাংলাদেশে রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবচেয়ে বড় ও প্রধান অবলম্বন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলো বলেই আজ বাঙালি গর্বের আসনে আরোহন করেছে। এ অর্জন ধরে রাখতে হলে অর্থনৈতিক মুক্তির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোরশেধ আলম বলেন, লক্ষ্য অটুট থাকলে সাফল্য অবশ্যই আসবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তারুণ্যকে এগিয়ে যেতে হবে। এই এগিয়ে চলার মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ও মিশন সফল হবে।
জি.এম.আইটি’র চেয়ারম্যান কামরুল কায়েস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তাওহিদুল ইসলাম, সাগর দে, মো. তুহিন প্রমুখ। সূত্র-পিআইডি চট্রগ্রাম