বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ব্রীজ থেকে বেতনা নদীর চরে ফেলে দিয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় শিশুটি প্রাণ হারিয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
জেলায় বারবার নবজাতক পাওয়ার ঘটনার পরও এবারও মিলল না সন্তানের বাবা মায়ের
সন্ধান।
সাতক্ষীরায় ব্রীজ থেকে হত্যার জন্য ছুড়ে ফেলে নবজাতককে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে।
কুল্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাসেত আল হারুন চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মুুসুল্লীরা ফেরার সময় শিশুর কান্না শুনে কুল্যা ব্রীজের তলায় বেতনা নদীর চরে যেয়ে দেখতে পান একটি কন্যা নবজাতক। তখন চেয়ারম্যানকে সংবাদ দিলে তিনি ওই কন্যা নবজাতক উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: অসীম কুমার সরকার জানান, নবজাতকটি কন্যা সন্তান। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। উপর থেকে ফেলে দেয়ায় তার মাথা ফেটে যায়। নাকে কাদা মাটি ঢুকে গেছে শ্বাস নিতে কষ্ট পারছিল। তারা নবজাতকের নিবিড় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ অবস্থা থেকে শিশুটির প্রাণ রক্ষা করা যায়নি।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, শিশুটি দুপুর ২টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খোঁজখবর নিয়ে যারা এই নবজাতকটিকে হত্যা করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওসি আরো জানান।
সাধারণ মানুষ বলছে নবজাতকদের নিয়ে সাতক্ষীরায় চলছে একের পর এক বর্বরতা চলছে এ বর্বরতা থামাতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।