স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী আসাদুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিজয়ী প্রার্থী আসাদুল হকের সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে ইউনিয়নের দেওকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। আহত শফিকুল ইসলাম দেওকুল এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ও আহত গৃহবধূ আলেয়া খাতুন একই এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কুলিয়া ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল হকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও তার সমর্থকদেরকে মারধর করে নৌকার প্রার্থী আসাদুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা। ওই
এঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন শফিকুল ইসলাম, আলেয়া খাতুনসহ আরও অনেকে। গণমাধ্যমে কথা বলায় আসাদুল ইসলামের সমর্থকরা শফিকুল ইসলাম, আলেয়া খাতুনসহ আরও অনেককে প্রাণনাশের হুমকী-ধামকী দেন।
পরবর্তীতে ২৮শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হেরে যাওয়ায় পেছনে শফিকুল ইসলাম, আলেয়া খাতুন মূখ্য ভূমিকা রয়েছে। আর এমন ধারণা করে পরাজিত প্রার্থী আসাদুল ইসলাম ও তার সহদর ভাই এমাদুল ইসলামের মদদে দেওকুল এলাকার শফিকুল ইসলাম ও আলেয়া খাতুনকে মারধর করেছে নৌকার সমর্থকরা বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
এসময় তারা আরও বলেন, বুধবার সকালে দেওকুল এলাকার নৌকার সমর্থক নজরুল ইসলামের ছেলে দেলোওয়ার হোসেন, হেনার ছেলে শওকত, আব্দুল খালেকের ছেলে আজগার আলী, সামছুর রহমানের ছেলে মফিজুল ইসলাম, মৃত আশরাফের ছেলে ইসমাঈল হোসেন, মাজেদ আলীর ছেলে কামাল হোসেন, রেজাউল ইসলামের ছেলে মঈনুর রহমান, লালমিয়ার ছেলে আকবার আলী, মৃত জনাব খাঁ’র ছেলে আব্দুস সবুর, জুম্মাতমিস্ত্রীর ছেলে আশরাফ আলী,
শফিউদ্দীনের ছেলে আল-আমিন, নজরুল মিস্ত্রীর ছেলে নাজমুল হোসেন, মুত আতর আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন, রকিব বিশ্বাসের ছেলে বাবু, চাকমা, জিয়া, লাপ্পাসহ অজ্ঞাত ১০/১২জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শফিকুল ইসলামের বসতবাড়িতে এসে তাকে মারধর করতে থাকেন।
এসময় শফিকুলের স্ত্রী আলেয়া খাতুন এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন নৌকার সমর্থকরা। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে নৌকার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। এসময় গুরুত্বর আহত অবস্থায় শফিকুল ইসলাম ও আলেয়া খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে স্থানীয়রা। এদের ভিতরে শফিকুলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া লাগতে পারে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এবিষয়ে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ’র সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।