স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিণ পাথরঘাটায় জমিনিয়ে বিরোধের জেরধরে এক গৃহবধুকে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষ।  আহত গৃহবধুর নাম মোছাঃ শিরিনা খাতুন (৪৫)। তিনি দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের মৃত রওশন আলী দালাল এর মেয়ে।

এবিষয়ে হামলা ও মারপিটের শিকার ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও পাঁচ ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং -২১তারিখ ৯ এপ্রিল।

হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিরা হলেন দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের মৃত গোলাম রসুল এর ছেলে আমিরুল ইসলাম, একুই এলাকার মৃত আঃ মজিদ এর ছেলে ওয়াজেদ আলী, আঃ রাজ্জাক এর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম এর ছেলে মহিবুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ, মিজানুর রহমান, রাফিত, গোলাম ওদুদ, রুপা খাতুন, শেলি খাতুন, কদাবানু খাতুন, নাজমা খাতুন ও মোসলেমা খাতুন।

আহত শিরিনা খাতুন জানান, জমিনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের জের ধরে গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টারদিকে প্রতিপক্ষের আমিরুল ও ওয়াজেদ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

ঘটনার ভয়াবহ বর্ণনায় তিনি বলেন, ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা শহরে যাবার সময় প্রতিপক্ষ মোঃ আমিরুল ইসলাম এর বাড়ির সামনে পৌছালে তিনি ও ওয়াজেদ আলীসহ ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, দা, বাঁশের লাঠি নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। তারা আমাকে লোহার রড ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে, পিটাতে থাকে।

এসময় আমার চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ও পথচারীরা এসে আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদেরকেও মারধর করে তারা। এমনকি আমাকে হাসপাতালে নিতে আসা এম্বুলেন্স ও আটকে রাখে তারা। এরপর সদর থানার পুলিশ যেয়ে আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার বাম পা ভেঙে দিয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় দা দিয়ে কোপ দিতে গেলে সরে আসলে আমার কাধে দায়ের কোপ লাগে।

এছাড়া আমার সারা শরিরে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে তারা। এখন মুমূর্ষু অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *