ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরারা ভোমরা সীমান্ত এলাকায় পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী মাদক চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছ। তারা সীমান্তের বিভিন্ন চোরাপথ দিয়ে ভারত থেকে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ ভয়ংকর মাদক এলএসডি আমদানি করে তা নিরদ্বিধায় সরবরাহ করছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তারা শুধু মাত্র মামলা থেকে বাঁচতে পুলিশের দু-এক জন সদস্যের সাথে টাকার বিনিময়ে সুসম্পর্ক রেখে মাদকের ব্যাবসা চালিয়ে আসছে।
নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে ভোমরা সীমান্ত এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম ওরফে মাস্টার। সে বহুদিন যাবত পুলিশ ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ভোমরা সীমান্তে মাদকের চোরাকারবার চালিয়ে আসছে। সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে পুলিশের নাম করে অর্থ আদায়ের ও অভিযোগ করেছে তার বিরুদ্ধে।
ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, মাস্টার হালিমের শশুর শ্রীরামপুর এলাকার ভোদু সে পুলিশের ক্রস লিস্টে তালিকা ভুক্ত ও আদালতের কয়েকটি মাদক মামলায় সাঁজা প্রাপ্ত ফেরারি আসামি। ভোদু বহুদিন যাবত ভারতের পাকিরডাঙ্গা ইটিনডা এলাকার ফেনসিডিল সম্রাট আমিন এর আশ্রয়ে থেকে মাদকের চালান পাঠাচ্ছে ভোমরা ও বৈকারী সীমান্তের বিভিন্ন চোরা পথে। আর সীমান্ত পেরিয়ে আসা মাদকের চালান গ্রহণ করে হালিম ওরফে মাস্টার ও তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন। সেই সব মাদকের চালান সাতক্ষীরা শহর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে তারা।
হালিম মাস্টার ও তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুনের গড়ে তোলা মাদক সিন্ডিকেটে রয়েছে সাতক্ষীরা সদরের মাহমুদপুর গোয়ালপাড়া এলাকার হাসান সরদারের ছেলে ইসরাফিল সরদার, মাহমুদপুর নাটাপাড়া এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী আবু তালেব এর ছেলে ফেনসিডিল ব্যাবসায়ী তুহিন এর ব্যাবসায়ী পাটনার শ্যামনগরের সাইফুল কানা, জোহরের জামাই মিনারুল, মিনার, ও একই এলাকার সাইদুল।
বাদামতলা গাংনীয়ার রশিদ কারিগর এর ছেলে আজিজুল ইসলাম পলতা। আলিপুর বাজার খোলা এলাকার হাফিজুল, পুস্পকাটির ছালাম, বড়ো মস্ত, ছোট মস্ত। শ্রীরামপুর এলাকার হাসান, বকুল, সোনা ও বাপ্পি। এরা সবাই চিহ্নিত প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী। তাদের নামে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
খোঁজনিয়ে জানাযায় পুলিশ ও বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে ভোমরা কানপাড়ার শহিদুল এর জামাই ইসলাম।
এছাড়া মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে ভোমরা কানপাড়ার বাসিন্দা মৃতঃ ফকির গাজীর ছেলে শহিদুল ও শহিদুল এর মেয়ে হোসনেয়ারা, ছেলে আবুল হাসান খোকা, বোন শহিদা, আর এক বোন শাইদা, শাহিদার জামাই মিন্টু, শাহিদার স্বামী সবুর। সাতক্ষীরা শহরে কুকরালির গড়েরকান্দার আনজু। লাবসা দরগা পাড়া এলাকার জামাই মুকুল ও তার স্ত্রী জোছনা। জামাই মুকুলের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল হওয়ায় কোনো পরোয়া না করে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে বহুদিন ধরে।