রাহাত রাজা : বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবন কোল ঘেষা জেলা সাতক্ষীরা। এ জেলার সুন্দরবনের খাঁটি মধুর কদর দেশজুড়ে। সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে চাষ কৃত মধুকে সুন্দর বনের মধু বলে বিক্রয় হচ্ছে সারাদেশে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী সাতক্ষীরা জেলা শহরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্লাষ্টিকের বোতল ও ড্রামে করে চাষ কৃত মধু সারা দেশে বিক্রয় করছে। বোতল বা ড্রাম জীবানু মুক্ত কারার কোন প্রয়োজন মনেকরেন না এসকল ব্যবসায়ীরা।
জেলা শহরের বিভিন্ন গ্রামে ঘুর ঘুরে চাক কেটে মধু সংগ্রহকারী অনেক মৌয়ালরা জানান সাতক্ষীরায় এখন সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নামে চলছে ভেজাল মধুর রমরমা ব্যবসা একটি ফেইসবুক পেজ খুলে বুষ্ট করে কিছু ভিডিও ও ছবি আপলোড করে এসব ব্যাবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করছে ভেজাল মধু।
শহরের অলিতে গলিতে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অতি মুনাফার আশায় সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত মধুতে মেশিনের মাধ্যমে ভেজাল দিয়ে বাজারে তা উচ্চ দামে বিক্রি করছে। ভেজাল মধু শনাক্ত করার সাধারণত কোনো উপায় না থাকায় ক্রেতাসাধারণ তা কিনে প্রতারিত হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বর্তমান সময়ে বিদেশী আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে চাষের মধু, ভেজাল মধু ও চিনির মিশ্রনে তৈরি করা হচ্ছে মিক্র মধু যা সাতক্ষীরার সুন্দর বনের খাটি মধু বলে বিক্রয় করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার গনমুখী মোড়, খুলনা রোড মোড়, নিউমার্কেট মোড়, সঙ্গীতা মোড়, বড় বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, মুদিদোকান, কাপড়ের দোকান, ওষুধের দোকান, ফলের দোকান, পান–সিগারেটের দোকান, কবিরাজি দোকান, বেকারি, জুতার দোকান এমনকি সেলুনেও সুন্দরবনের খাঁটি মধু পাওয়া যাই লিখে ভেজাল মধু বিক্রি করা হচ্ছে।
সব স্থানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি ২৫০,৩৫০,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা দরে এ মধু বিক্রি করা হচ্ছে। এ মধু কতটা খাটি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা জেলার এক মৌয়াল জানান এখনি এ সকল বিপদগামী ব্যববসায়ীদের আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে সাতক্ষীরার সুন্দরবনের মধু এক সময় বিক্রয় করা কঠিন হয়ে যাবে মানুষ বিশ্বাস হারাবে।