স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে মাদক চোরাকারবারীদের দুই দফা হামলায় তিন র‌্যাব সদস্য সহ আটজন আহত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে চোরাকারবারীরা। আহতদের শ্যামনগর ও খুলনায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে কৈখালি ও রমজাননগর ব্রীজের কাছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাব সদস্য বিশ্বজিত ও আসলান এবং পাঁচজন সোর্স মোঃ আব্দুল্লাহ, রবিউল ইসলাম, লাল্টু, মনির ও সাদেক হোসেন।

র‌্যাব এ ঘটনায় রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ও তার ভাই একই ইউনিয়নের মেম্বর জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে আটক করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাব এর একজন সোর্স ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে একটি প্রাইভেটকার ও ৫টি মোটরসাইকেলসহ র‌্যাব ও কয়েকজন সোর্স কৈখালি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান নামে। মাদক কেনাবেচার ভান করে তা জব্দ করার সময় চোরাচালানীরা তাদের ওপর হামলা করে। তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে কৈখালির একটি ঘরে আটকে রাখে। এসময় তাদের কাছে থাকা একটি অস্ত্রও ছিনিয়ে নেয় চোরাকারবারীরা।

এদিকে এ খবর পেয়ে নদীর অপর পাড়ে রমজাননগরে থাকা র‌্যাবের কয়েকজন সোর্স ও সদস্য কৈখালি থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। রমজাননগরে আসার পরই তাদের পথরোধ করে আবারও হামলা করে আরেকদল চোরাকারবারী। এসময় তাদের মারধর করে দ্বিতীয় দফায় আটকে রাখা হয়।

খবর পেয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছালে চোরাকারবারীরা তাদের ছেড়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাব এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ও তার ভাই একই ইউনিয়নের সদস্য জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে আটক করেছে।

চোরাকারবরীদের হামলা বিষয়ে জানবার চেষ্টা করা হলে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরার কোম্পানির কর্মকর্তারা ফোন ধরেননি। তবে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী র‌্যাবের ওপর চোরাচালানীদের এই দুই দফা হামলার বিষয়টি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাজমুল হুদা জানান, রাতেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে র‌্যাব এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মামলা থানায় দেয়নি। তিনি জানান, শুনেছি ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ও তার ভাই জাহাঙ্গীরকে র‌্যাব আটক করেছে। অস্ত্র ঠিনতাইয়ের বিষয়টি সত্য নয় বলে শুনেছি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *