স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরায় আলমগীর হোসেন নামের এক জৈনক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আলমগীর হোসেন শহরের দক্ষিণ পলাশপোল এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে।
সূত্রে জানাগেছে, আলমগীর হোসেন সাতক্ষীরা আদালত এলাকায় ঘোরাফেরা করে থাকেন। চাকরী দেওয়ার নামে, মামলা-মকদ্দমায় তদরিব করার নামে সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে হাজার-হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করাাই যেনো তার কাজ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মামলাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাতক্ষীরা আদালতে আসা সাধারণ মানুষদের সাথে সুন্দর কথা বলে তাদের ম্যানেজ করে, সমস্যা দ্রুত সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় সে।
আলমগীর হোসেন কখনো ডিবি পুলিশে আছেন, আবার কখনো পুলিশে চাকরী করতেন বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, আলমগীর হোসেন পূর্বে পুলিশ কন্সেষ্টেবলের চাকরী করতো। নারী ঘটিত কারণে তিনি চাকরীচ্যুত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে তার যোগাযোগ আছে বলে সাতক্ষীরা জজকোর্ট এলাকায় বিভিন্ন মানুষের মামলায় তদবির করে দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণ করেন।
এছাড়া বিভিন্ন মাদকের স্পর্ট থেকে মাসিক চাঁদা গ্রহণ করেন আলমগীর হোসেন। শহরের খুলনা রোডমোড় বিকাশের স’ মিল থেকে ৪২মণ জ্বালানি কাঠ নিয়ে, টাকা না দিয়ে মামললার ভয় দেখিয়ে স’ মিল ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এদিকে, মধুবাগ আবাসিক উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছারুজ্জামান জানান, আলমগীর হোসেন একজন ধূর্ত ও প্রতারক চরিত্রের মানুষ। তার প্রতারণার শেষ নেই।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বকুলনগর গ্রামের আরশাদ নামে আমার এক নিকট আত্মীয় রয়েছে। আদালতে আরশাদের একটি দেওয়ানি মামলায় তার পক্ষে রায় এনে দেওয়ার নামে ২১ হাজার টাকা নিয়েছে আলমগীর হোসেন। কিন্তু কাজ না করে আলমগীর হোসেন টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণ করছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছারুজ্জামান আরো জানান, প্রতারক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার প্রমান করেছে। সে সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে চলে। একদিন সে আলোচিত প্রতারক সাহেদ ও প্রতারক বাদশা মিয়ার মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে ধরা পড়বে।