নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান বাজারে চাল ও আটার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষেরা ভিড় করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খোলা বাজারে (ওএমএস) এর ডিলারের ঘরে।
২০০ মানুষের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও লাইনে দাড়াচ্ছে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ। আর এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে (ওএমএস) এর ডিলারদের। ক্রেতাদের দাবী পরিমান বৃদ্ধি করা হোক। পরিমান বৃদ্ধি করা না হলে অনেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে। সরকার ঘোষিত স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শহরগুলোতে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার।
সাতক্ষীরা শহরের ১০ পয়েন্টে ৫টিতে চাল আর অন্য ৫টিতে আটা একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল প্রতি কেজি ৩০টাকা ও আটা প্রতি কেজি ১৮ টাকায় বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে তারা কিনছেন এই দুটি খাদ্য পণ্য। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ওএমএস’র চাল ও আটা কিনতে বর্তমানে ঝুঁকে পড়ছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শত শত নারী ও পুরুষকে। সাতক্ষীরার বাজারে চালের দাম বেড়ে গরীবের মোটা চালের কেজি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তাই নি আয়ের মানুষ ছুটছেন ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারের ওএমএস ডিলারদের কাছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বাদে প্রতিদিন ওএমএস কর্মসূচির জন্য প্রত্যেক ডিলারকে ১ টন করে চাল ও এক টন করে আটা প্রতিদিন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং আটা ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। ওএমএস-এর দোকান থেকে জন প্রতি ৫ কেজি চাল অথবা আটা কিনতে পারবেন।
এব্যাপারে খাদ্য পরিদর্শক মো. হুমায়ূন বাসিদ জানান, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ৫ কেজি আটা ও ৫ কেজি করে আটা নার্য্য মূলে সরকারিভাবে বিক্রয় করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন ডিলারদের ঘরে গিয়ে তদারকি করা হচ্ছে।
রবিবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সাতক্ষীরা পৌর এলাকার নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে ওএমএসের ডিলার মীর হাবিবুর রহমান বিটু ন্যায্য মূল্যে আটা বিক্রয় করার জন্য মানুষের মাঝে টোকেন দিচ্ছেন। কারণ দিতে হবে ২০০ লোকের অথচ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ৫ থেকে ৬ শতাধিক মানুষ।
তিনি বলেন, এখন চাল ও আটার মান খুবই ভালো, চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তাই তারা ছুটছেন ও এমএসের ডিলারের কাছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। লাইনে দাঁড়ানো চাল কিনতে আসা নারী মর্জিনা, কমলা রাণী, রেবেকা খাতুন জানান, তারা ভোর বেলায় এসে দাঁড়িয়েছেন চাল ও আটা নেওয়ার জন্য।
আজ লাইনে দাঁড়িয়ে পাবে কিনা সন্দেহ। কারণ অনেক মানুষ দাঁড়িয়েছে লাইনে। সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় ওএমএম এর ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌরবাসীর পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা এবং ওএমএস’র এই সুবিধা চলমান রাখার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং সেই সাথে আরো বেশি মানুষকে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।