জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বেলা ১টার দিকে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফসার আলী, মহিলা সম্পাদক শিমুন সামস, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদস্য এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, সদস্য মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। এছাড়া জেলা তাঁতী লীগ নেতৃবৃন্দও একইস্থানে শ্রদ্ধা জানান।
এরআগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের খুলনা রোড মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ উচ্চ পদস্ত পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা পৌরসভা, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ,
সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা স্বাস্থ বিভাগ, জেলা পরিসংখ্যান অফিস, সাতক্ষীরা সরকারী মহিলা কলেজ, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পৌর শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারী বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ-জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
আজ থেকে এক শ বছর আগে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা থেকে এক স্বাধীন জাতির জনক। ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এমন এক মার্চে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে নিয়ে আসে স্বপ্নের স্বাধীনতা। এর জন্য মানুষকে তিলে তিলে তৈরি করেছেন তিনি। নিজেও তিলে তিলে সয়েছেন শত যন্ত্রণা। জীবনের ১৪টি বছর কাটিয়েছেন কারাগারে।
স্মরণ আর উৎসবে দেশ আজ তার মুক্তির মহানায়ককে সামনে নিয়ে এসেছে। গত বছর এই দিনটি ছিল তাঁর শততম জন্মদিন। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত পুরো বছর মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছর সূচি অনুযায়ী মুজিব বর্ষ উদ্যাপন করা যায়নি। এবার স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করছে বাংলাদেশ। এই বছর তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি আরও বিশেষভাবে ধরা দিয়েছে। তাই শতবর্ষী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের অনুষ্ঠান ‘মুজিব চিরন্তন’ শুরু হচ্ছে আজ বুধবার।