নিজস্ব প্রতিনিধি: ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ফলাফল অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। শত নারীর বিপরীতে ৯৯.১৫ পুরুষ রয়েছে। জনসংখ্যায় এগিয়ে সাতক্ষীরা সদর এবং সর্বনি¤œ জনসংখ্যা দেবহাটায় উপজেলায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২ এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবু তালেবের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ^াস, সদর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার প্রমুখ।
ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক রকিবুল হাসান।
এতে বলা হয় সাতক্ষীরা জেলায় জনসংখ্যা এখন জনসংখ্যা ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮২জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫৪জন, নারীর সংখ্যা ১১ লাখ ২ হাজার ৯৩৬ জন।
জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ০.৯০ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫৭৫।
আশাশুনি উপজেলার জনসংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৫৮জন, দেবহাটা উপজেলা ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৪জন, কলারোয়া উপজেলা ২ লাখ ৬১ হাজার ২৭০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৫জন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫ লাখ ২২ হাজার ৯৬৪জন, শ্যামনগর উপজেলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭০ এবং তালা উপজেলায় জনসংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ১১১জন মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনসংখ্যা ৩ হাজার ৮৬৫ এর মধ্যে নারী ১ হাজার ৮৮২জন ও পুরুষ ১ হাজার ৯৮৩জন।
জেলার জনসংখ্যা ৮৪.৯২ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ১৫.৩৫, খ্রিস্টান ০.২৮, বৌদ্ধ ০.০০৫ শতাংশ এবং অন্যান্য০.০৮ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন।
এছাড়া জেলায় মোবাইল ব্যাবহারকারী সংখ্যা ৬৮.০৮ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। জেলায় খানার সংখ্যা ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫২জন। এর মধ্যে পল্লীতে বসবাস করেন ৪লাখ ৫৪ হাজার ৩৬১ এবং শহরে বসবাস করেন ১লাখ ৯৩ হাজার ৩৯১জন। জেলায় বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আছে ৯৯.৪৩ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যা ছিলো ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ জন। সর্বশেষ শুমারী অনুযায়ী জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৬১৩জন।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ২০২২ সালের ১৫ জুন একযোগে শুরু হয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শেষ হয় ২১জুন ।