নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে চেতনা নাশক স্প্রে করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) ভোর রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামের কাজীপাড়ায় পুলিশ সদস্য মাসুদ কাজীর বাড়িতে এঘটনা ঘটে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় গ্রামবাসী এক দুর্বৃত্তকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করেছে।
আটক দুর্বৃত্তের নাম মোঃ আবদুল কাদের (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের আবু বাক্কার সিদ্দিকের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর কাজী আবু সুলতান ওরফে তুষার জানান, সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামের মৃত কাজী আলাউদ্দিনের ছেলে কাজী মাসুদ ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তার একমাত্র ছেলে কাজী ফাহিমও পুলিশে চাকরি করেন। মাসুদের স্ত্রী রানী একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৩)কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে ৪/৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত সাহরীর সময় শুক্রবার ভোর রাত আনুমানিক ৪টা দিকে পুলিশ সদস্য মাসুদ কাজীর বাড়ির ঘরের জানলা দিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে করে।
এসময় ঘরে থাকা মা ও মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা জানলা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাদের দু’জনের হাত, পা ও মুখ বেধে ফেলে রেখে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে মাসুদের স্ত্রী রানী আধা অচেত অবস্থায় মোবাইলে ঘটনা মাসুদকে জানায়। পরে মাসুদ বিষয়টি আমাকে জানালে আমি দ্রæত লোকজন নিয়ে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে নেবাখালী বিল থেকে আবদুল কাদেরকে আটক করি। এসময় বাকিরা পালিয়ে যায়। সকালে তাকে সদর থানা পুলিশে সোপার্দ করা হয়। অসুস্থ রানী ও সুমাইয়ার বাড়িতে চিকিৎস্যা চলছে। তাদের অবস্থা এখন অনেকটা ভাল।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় আবদুল কাদের নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবদ চলছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।