কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজা ম-প, মন্দির, বাড়ি ঘর ভাংচুর, হত্যা ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি। বুধবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দীন চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ মোড়ল।

জেলার সাধারণ সম্পাদক এড.ফাহিমুল হক কিসলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, তালা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কলারোয়া ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মাস্টার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য স্বপন কুমার শীল, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি সাকিব মোড়ল। উপস্থিত ছিলেন, জেলার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড আবেদুর রহমান, কমরেড ময়নুল হাসান, কমরেড অজিত কুমার রাজবংশী, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড আব্দুল জলিল মোড়ল, কমরেড নির্মল কুমার সরকার, হিরন্ময় মন্ডল, উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সাতক্ষীরা শহরের মিনি মাকের্ট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউমার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় থেকে কক্সবাজারের রামু পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর বার বার নির্যাতন অত্যাচার, হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এ পর্যন্ত একটি মামলারও বিচার সম্পন্ন হয়নি। অপরাধীরা জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। যে কারনে বার বার এধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটে চলেছে। কোন ধর্ম অন্য ধর্মের মানুষের উপর হামলা করতে বলেনি।

একটি চক্র আমাদের বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শারদীয় দূর্গাপুজা চলাকালিন কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় মন্দিরে পরিকল্পিতভাবে রেখে দেওয়া পবিত্র কোরআন শরীফকে নিয়ে কুমিল্লা, রংপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালি, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কর্তৃক প্রতিমা ভাঙচুসহ হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনসহ আর্থিক সহযোগিতা করা এবং দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়নের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *