স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা ভোমরা সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক চোরাচালান চক্রের তিন গডফাদার। তারা প্রতিরাতে সদর উপজেলার ভোমরা, ঘোনা ও বৈকারি সীমান্তের চোরা পথে ভারত থেকে পার করে আনছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, নিষিদ্ধ ট্যাপেনটাডোল (Tapentadol) ব্যাথা ও চেতনানাশক নেশার ট্যাবলেটসহ ভয়ংকর সব মাদক।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সাতক্ষীরা সদরের মহমুদপুর এলাকার মৃত হামিদ সরদারের ছেলে হান্নান, মাহমুদপুর গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত করিম মোল্লার ছেলে মাদক সম্রাট মিলন হোসেন একই এলাকার মাজেদ মোল্লার ছেলে বাবু দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া ভাবে প্রকাশ্যে মাদকের জমজমাট ব্যাবসা চালিয়ে আসছে তারা।
নির্ভরশীল সূত্র জানিয়েছে, হান্নান, মিলন ও বাবু ভারতের বশীরহাটের পাকিরডাঙ্গার চিহ্নিত চোরাকারবারি বাকি বিল্লার কাছথেকে বিভিন্ন প্রকার মাদক এনে তা সরবরাহ করছে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। খুলনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপর, চট্টগ্রামসহ রাজধানী ঢাকায় পৌঁছে দিচ্ছে বড়বড় মাদকের চালান। তারা গড়ে তুলেছে আন্তঃজেলা মাদক চোরাচালান চক্র।
সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে, মিলনের নামে ৮টি মাদকের মামলা রয়েছে। হান্নানের নামে রয়েছে শিশু মেহেদী অপহরণ ও গুম মামলাসহ আরো ৩ টি মাদকের মামলা। বাবুর নামেও রয়েছে মাদকের মামলা।
মামুদপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন তারা অস্ত্রধারী মাদক চোরাচালান চক্রের মূল হোতা। গভীর রাতে ভারত থেকে চোরা পথে বড় বড় মাদকের চালান পারকরে আনে মাঠ ও মৎস্য ঘেরের ভেড়ি দিয়ে। মাদকের চালান বহনের সময় তাদের কাছে থাকে রামদা ও আগ্নেয় অস্ত্র। তারা বিজিবি ও পুলিশের পরোয়া করেনা।
আলোচিত মিলন পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয়ও দিয়ে থাকে। এসব কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ সবসময়ই থাকে আতঙ্কে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মাদকদ্রব্য দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয় তারা। প্রকাশ্যে মাদকের চোরাচালান রুখতে বিজিবি ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে এলাকাবাসী।